কুবি প্রতিনিধি: পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটা হয়েছে পাহাড়। ‘শিক্ষক ক্লাব কাম গেস্ট হাউস’ নামে ভবনের নির্মাণ কাজের জন্য এই পাহাড় কেটেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পাহাড় কাটা বন্ধ করতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এতে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ক্যাম্পাস হারাচ্ছে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দক্ষিণে নির্মানাধীন শিক্ষক ক্লাব কাম গেস্ট হাউসের কাজের জন্য উত্তর পাশের পাহাড়ের প্রায় অর্ধেক কেটে ফেলা হয়েছে। এই মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে নিচু জায়গা। ফলে যেকোন সময় পাহাড় ধ্বসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইনের ২০১০-এর ৬-এর ‘খ’ ধারা অনুযায়ী পাহাড় বা টিলা কাটার জন্য ছাড়পত্রে নেয়ার বিধান থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে সেই ছাড়পত্র নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ছাড়পত্র ছাড়াই পাহাড় কাটা বন্ধে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য। আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করে এই স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির সদস্যরা। পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেয়া ওই স্মারকলিপিতে সংগঠনটি উল্লেখ করে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করতে গিয়ে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষাকারী পাহাড় কাটা হচ্ছে। যা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (সংশোধিত) ২০১০ এর ৬ (খ) এর পরিপন্থী। এভাবে নির্বিচারে পাহাড় কাটা হলে পরিবেশের চরম বিপর্যয় ঘটবে যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা চরম উদ্বিগ্ন।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা আজই এই ব্যাপারে মিটিং করেছি৷ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক কোদাল মাটিও যেন অন্যত্র না সরে সে বাপারে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।