শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে বাইরের বাতাস টেনে ফুসফুসে নিয়ে যাই। এরপর বাতাসের অক্সিজেন রক্তের মাধ্যমে শরীরের কোষে যায় এবং সেখান থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড নিয়ে রক্ত ফিরে আসে ফুসফুসে। শ্বাস ত্যাগের মাধ্যমে কার্বন ডাই–অক্সাইড বাইরে বেরিয়ে যায়। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, বাতাসে যে আরও অনেক গ্যাস ও অন্যান্য ক্ষুদ্রকণা থাকে, ওগুলো কোথায় যায়?
ফুসফুস থেকে কি রক্তে যায়? আবার বাতাসে ফিরে আসে? এতে রক্তের কোনো ক্ষতি হয় কি না? এসব প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই ওঠে। এখন দেখা যাক, রক্তের সঙ্গে আর কী কী আমাদের ফুসফুসে যায়।
আমরা সবাই জানি, যে বাতাস আমরা নাক দিয়ে টেনে নিই, তার মধ্যে অক্সিজেন ছাড়া আরও অনেক গ্যাসীয় পদার্থ থাকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকে নাইট্রোজেন, ৭৮ শতাংশ। অক্সিজেন থাকে ২১ শতাংশ। আরগন গ্যাস থাকে শূন্য দশমিক ৯৬৫ শতাংশ। কার্বন ডাই–অক্সাইড গ্যাসও কিছু থাকে, তবে পরিমাণ খুবই কম, মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
বাতাসে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের অনুপাত ঠিক মাত্রায় থাকলে নিরাপদে শ্বাস গ্রহণ করা যায়। ক্ষতি হয় না। ফুসফুসের বায়ুথলি (অ্যালভিওলি) থেকে অক্সিজেন রক্তে মিশে যায় এবং দেহকোষ থেকে নিয়ে আসা কার্বন ডাই–অক্সাইড নিশ্বাসের সঙ্গে বাইরে বের করে দেয়। রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন টেনে নেয় এবং দেহকোষে অক্সিজেন দিয়ে কার্বন ডাই–অক্সাইড টেনে নিয়ে ফুসফুসে ফিরে আসে।
এভাবে ফুসফুসের ভেতর অক্সিজেন ও কার্বন ডাই–অক্সাইডের আদান–প্রদান চলে। এখানে বলা দরকার, বাতাসের ধুলাবালু নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাসনালিতে যায়। এই পথের কাজ হলো বাতাসের ধুলাবালু ছেঁকে রাখা এবং বাইরের বাতাসকে দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করে তোলা। ফলে মোটামুটি শরীরে সহনীয় তাপমাত্রার নির্মল বাতাস ফুসফুসে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।