জুমবাংলা ডেস্ক : নিষিদ্ধ হয়েছে ছাত্রলীগ। সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। একই ক্ষোভ আওয়ামীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে।
এমন বাস্তবতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কোথাও মাঠে নেই ছাত্রলীগ। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তারা সরব।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের গৌরবের ইতিহাস তারা তুলে ধরছেন। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগও এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন ছাত্রলীগ থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার খবরে বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে আনন্দ মিছিল বের করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা। জেলার আখাউড়া উপজেলার সড়ক বাজারে ছাত্রদলের উদ্যোগে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। জেলার অনান্য স্থানে বৃহস্পতিবার আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন নয়ন ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছাত্রলীগের বিভিন্ন অর্জনের কথা উল্লেখ করে লেখেন, ‘বাংলাদেশ ও বাঙালি সমস্ত সোনালি অর্জনের গর্বিত অংশীদার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।’ তার পোস্ট করা একটি ছবিতে লেখা আছে, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিষিদ্ধ করা যায়; নিঃশেষ করা যায় না।’
রিফাত আহমেদ নামে আখাউড়ার একজন লিখেছেন, ‘ছাত্রলীগ ছিল, ছাত্রলীগ আছে, ছাত্রলীগ থাকবে! বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি আবেগ, অনুভূতির নাম।’ টিপু খাদেম নামে একজন লিখেছেন, ‘৭১ সালে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান।’
সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন মিল্লাত তার ফেসবুকে একাধিক পোস্ট করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই দাবি করা সংগঠনের নাম ছাত্রলীগ।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সুজন দত্ত বুধবার রাতে দেওয়া তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা লিখেছেন এর সংক্ষিপ্তটা হলো, ‘ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি কিংবা গেজেট পাস করার মাধ্যমে এ সংগঠনকে বিলুপ্ত করার চিন্তা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। ছাত্রলীগ শুধু একটি সংগঠন নয়, একটি একটি বিপ্লবী চেতনার প্রতীক, যা বাংলাদেশকে রক্ষা ও এগিয়ে নেওয়ার সংকল্পে অটুট। ছাত্রলীগের মন্ত্র এখন একটাই, ‘জন্মভূমি অথবা মৃত্যু’। দেশপ্রেম ও জাতির মর্যাদা রক্ষার জন্য তারা সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।’ স্ট্যাটাসে তিনি একটি ছবি দেন যাতে লেখা, ‘যতবারই হত্যা কর, জন্মাব আবার; দারুণ সূর্য হব লিখব নতুন ইতিহাস।’
অবশ্য ছাত্রলীগকে নিয়ে হাসি ঠাট্টারও অনেক পোস্ট দিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ। আখাউড়ার সাবেক ছাত্রদল নেতা মোবাশ্বির আহসান লিখেছেন, ‘প্রতিবেশী হিসেবে খারাপ লাগলেও সত্যিকারের খারাপ সংগঠন নিষিদ্ধ হলো।’
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ নির্ধারণ যৌক্তিক: সারজিস
আরাফাত চৌধুরী তার কমেন্টস এ ছাত্রলীগকে হেলমেট লীগ উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আতঙ্কের নাম ছাত্রলীগ।’ সানি ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘খারাপ লাগার কিছু নাই। আল্লাহ ছাড় দেন ছেড়ে দেন না।’ – কালের কণ্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।