একসঙ্গেই পাওয়া গেল দুইটি মরদেহ। তথাকথিত ‘নিষিদ্ধ’ প্রেমের ঘটলো করুণতম পরিণতি। প্রেমিকা ছিলেন বিধবা তাই প্রেমটাকে রাখতে হয়েছে গোপন। তবে লোকের বাঁকা চাহনির কাছেই হারলো প্রেম। আত্মহত্যার চরম সিদ্ধান্তটিই নিলেন এই দুজন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার আগমনী মাঝি ও প্রসেনজিৎ মাঝি সাহস করে বিয়েও করে ফেলেছিলেন তবে বিয়ের পরপরই তারা একসঙ্গে আত্মহত্যা করলেন।
বিয়ের দিনই একই ওড়নায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী নবদম্পতি। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার ইন্দাস বনপুকুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁকুড়ার রসুলপুর শেখ পাড়ার বাসিন্দা আগমনী বাগদির বছর কয়েক আগে পারিবারিকভাবে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় ইন্দাসের বনপুকুর গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে। মাস ছয়েক আগে স্বামীর মৃত্যু হয় অসুখে।
এরপর সমাজের বাধা নিষেধকে উপেক্ষা করেই ভালোবাসার বাঁধনে বনপুকুর গ্রামের প্রসেনজিৎ মাঝির সঙ্গে বাঁধা পড়েন আগমনী। ক্রমেই গাঢ় হয় সম্পর্কের রঙ। আগমনীর প্রেমে পাগল প্রসেনজিৎ মাঝি বিধবা আগমনীকে বিয়ের সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেন।
দুজনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে শুক্রবার গোপনে বিয়েও সেরে ফেলেন। কিন্তু বিয়ের পর অন্যের বাঁকা চাহনির কথা ভেবে দুজনে একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
সূত্র : জি নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।