Close Menu
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Bangla news
Home নিষিদ্ধ হলেও আমি এখনো দলের সাধারণ সম্পাদক : বিবিসিকে কাদের
মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার রাজনীতি

নিষিদ্ধ হলেও আমি এখনো দলের সাধারণ সম্পাদক : বিবিসিকে কাদের

Soumo SakibJune 6, 20258 Mins Read
Advertisement

জুমবালা ডেস্ক : আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের লম্বা সময় গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ওবায়দুল কাদের এখনও বাংলাদেশে কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার কথা দাবি করেছেন।

নিষিদ্ধ হলেও আমি এখনোপ্রতিবেশি দেশ ভারতের কলকাতায় অবস্থান করে সেখান থেকে কথা বলা শুরু করেছেন তিনি। কাদের দাবি করেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের তিন মাস তিনি বাসা বদল করে করে আত্নগোপনে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিন মাস পর গত বছরের নভেম্বরে তিনি নিরাপদে দেশ ছেড়ে গেছেন।

ছাত্র-জনতার সেই আন্দোলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, আটশোর বেশি হত্যাকাণ্ড ও দমননীতি চালানোর অভিযোগের ক্ষেত্রে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর নেতৃত্বের কোনো অনুশোচনা নেই। তাদের ক্ষমা চাওয়া বা ভুল স্বীকারের কোনো লক্ষণও দৃশ্যমান নয়। এনিয়ে দেশের রাজনীতিতে নানা আলোচনা রয়েছে।

সাক্ষাৎকারে ওবায়দুল কাদের জানান, তারা যখন দেশে এসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর পরিবেশ পাবেন, তখন ক্ষমা চাওয়া, ভুল স্বীকার করা বা অনুশোচনার বিষয় আসবে। ছাত্রদের সেই আন্দোলনে নিজেদের কিছু ভুল এবং পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যেও আলোচনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তার দাবি, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনকে ‘গণউত্থান’ বলা সঠিক হবে না। এতে উত্থান হয়েছে ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির’।

আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের দিনেই গত বছরের পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। দলটির ও তাদের সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য বা নেতাদের বড় অংশই পালিয়ে যান ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে। কিন্তু ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন, তা নিয়ে ছিল রহস্য, ছিল নানা আলোচনা। কারণ গত সাড়ে নয় মাসে তিনি কোনো মিডিয়ায় কথা বলেননি। অথচ শেখ হাসিনার শাসনের পতনের আগের দিন পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই সংবাদসম্মেলন করে দল ও সরকারের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরতেন কাদের।

শেষপর্যন্ত সাড়ে নয় মাস পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি এতদিন কিভাবে ছিলেন, কখন দেশ ছাড়লেন, এখন কোথায়-কিভাবে আছেন, এসব নিয়ে বিবিসির এই সাক্ষাৎকারে সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

পতনের আভাস কী পেয়েছিলেন? এই প্রশ্নের জবারে ওবায়দুল কাদের জানান, পাঁচই অগাস্ট তিনি জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে ছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে সরকারি ওই বাড়িতে থাকতেন তিনি।

কাদের জানান, তিনি সেদিন যখন ঢাকামুখী মিছিলের খবর পান, তখন সংসদ ভবন এলাকাতেই অন্য একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাসায় ছিলাম, সংসদ ভবন এলাকায়। যখন ঢাকা নগরী অভিমুখে বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল আসছিল। মিছিলে তাদের একটা আক্রমণাত্মক মনোভাব ছিল। লাঠি-সোটা নিয়ে তারা যখন ঢাকা মহানগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, তখন তাদের মধ্যে যে বিদ্বেষের ভাব, সেটা বুঝতে পারলাম।’

ওই বাসায় লুকিয়ে থাকার এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন যে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বেতার ও টেলিভিশনে ভাষণ দেবেন।

কাদের বলেন, ‘সে খবরটি পেয়ে আমার বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। সংসদ ভবন এলাকাতেই আর একটা বাড়িতে আমি আশ্রয় নিয়েছিলাম।’

সংসদ ভবন এলাকায় অন্য একটি বাড়িতে যখন আশ্রয় নেন কাদের, তখন সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। এক পর্যায়ে সেই বাড়িও আক্রান্ত হয়। তখন স্ত্রীসহ তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন বাথরুমে।

তিনি বললেন, ‘আমি একটু অনন্যোপায় হয়ে বাথরুমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সেখানে অনেক্ষণ থাকতে হয়েছে। একটা পর্যায়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে যারা সেদিন এসেছিল আমাদের বাসাবাড়ি আক্রমণ করতে, অনেকে ভাঙচুর-লুটপাট করছে। একটা বিভৎস অবস্থা।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কাদের বলেন, ‘এরা যখন সারা ঘরের সবকিছু লুটপাট ভাঙচুর করে, এতক্ষণ ধরে আমার ওয়াইফ তাদেরকে বাথরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে বারবার বলছিল আমি অসুস্থ। তারা প্রথমে বিষয়টিকে বিশ্বাস করে অগ্রসর হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেটা বাস্তবে দেখলাম, ভেতরে যে কমোড এবং বেসিন- এটা তাদের টার্গেট। সেজন্য তারা জোর করে ঢোকার চেষ্টা করছিল। তো আমার ওয়াইফ আমাকে জিজ্ঞেস করল কী করব? আমি বললাম খুলে দাও।’

তিনি বলেন, ‘বাথরুমের দরজা খুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পড়িমড়ি ছুট। অনেকেই ঢুকে পড়ল। তারা হঠাৎ আমার দিকে তাকিয়ে – তাদেরকে দেখলাম যে বিস্ময়ে ভরা চোখ। অবাক বিস্ময়ে তারা আমার দিকে তাকিয়ে। আমাকে জিজ্ঞেস করল, আপনার প্রধানমন্ত্রী তো চলে গেছে, আপনি যান নি? আমি তখন নির্বাক। আমি কিছু বলিনি।’

কাদের বলেন, ‘এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে একটা বিভক্তি দেখলাম। একটা গ্রুপ বলছে যে, না ওকে জনতার হাতে তুলে দেই। আবার কেউ কেউ বলছে, সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেই। একটা পর্যায়ে যারা আমাকে রক্ষা করতে চেয়েছিল তাদের সংখ্যার আধিক্যটা লক্ষ্য করলাম এবং তারা শেষ পর্যন্ত জয়ী হল।’

তিনি জানান, শেষপর্যন্ত আন্দোলনকারীদের সেই দলটি তার শার্ট পাল্টিয়ে এবং মুখে মাস্ক দিয়ে তাকে নিয়ে রাস্তায় নামে। আন্দোলনকারীরাই তাকে ও তার স্ত্রীকে একটা ইজিবাইকে নিয়ে রাস্তায় মানুষের ভিড় থেকে রক্ষা করে।

কাদের বলেন, ‘রাস্তায় লোকজনের ভিড় বেশি। আমার চাচা- চাচি অসুস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি- এ কথা বলে বলে বিভিন্ন জায়গায় বুঝিয়ে সুঝিয়ে আমাদেরকে নিয়ে গেল। আমরা বিপদমুক্ত হলাম একটা পর্যায়ে।’

পাঁচই অগাস্ট ঢাকায় এভাবে বিপদমুক্ত হওয়ার কথা বলেন কাদের। কিন্তু কোথায় গিয়ে বিপদমুক্ত হলেন এবং এরপর কোন এলাকায় বা কার আশ্রয়ে আত্মগোপনে ছিলেন-এনিয়ে কিছু বলেননি তিনি। তার বক্তব্য অন্য কোনো পক্ষ থেকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

পরে দেশ ছাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কাদের বলেন, ‘দেখুন কীভাবে এসেছি, এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা বলার কী দরকার আছে? এসেছি তিন মাস পরে। পাঁচই অগাস্টের তিন মাস পর আমি নভেম্বর মাসে দেশ ছেড়েছি। এটুকু বলতে পারি।’

কাদের জানান, ভারত যাওয়ার আগে তার সঙ্গে দলের নেত্রী শেখ হাসিনা বা অন্য কারও সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না।

তিনি বলেন, ‘কোনো যোগাযোগ ছিল না। সেখান থেকে আমি কোনো যোগাযোগের চেষ্টা করিনি।তখন আসলে আমার একটা কনসার্ন ছিল যে, আমাকে ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছিল। আমাকে বার বার বাসা পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমার ওখানে অ্যারেস্ট হওয়ার একটা ঝুঁকি আছে।’

কাদের আরও বলেন, ‘আমাকে অনেকগুলো মেডিসিন নিতে হয়। আমার তো বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। সেই কারণেই তখন এ ঝুঁকি নেয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। অনেকেই আমাকে প্রথম থেকেই দেশ ছাড়তে বলেছিল। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি দেশেই থাকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেভাবে এখানে সেখানে তল্লাশি, তাতে আমি আর ঝুঁকি নিতে চেষ্টা করলাম না। বাধ্য হয়েই আমাকে দেশত্যাগ করতে হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘আমি এখনো দলের সাধারণ সম্পাদক। আমাদের দলে তিন বছর পর পর কাউন্সিলে নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ আছে। আমি এখন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কথা বলা শুরু করেছি।’

পাঁচই অগাস্টে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, সংসদের স্পিকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপিদের অনেকে এবং পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীরও অনেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওবায়দুল কাদেরও দেশের কোনো একটি সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন, এমন আলোচনা, গুঞ্জন ছিল।

সে সময় আশ্রয় নেওয়াদের ৬২৬ জনের একটি তালিকা সম্প্রতি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। অবশ্য সেই তালিকায় ওবায়দুল কাদেরের নাম নেই।

কাদের দাবি করেন, ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেয়ার বিষয়টা তার ধারণায় ছিল না।

তিনি বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিতে হবে, এরকম কোনো ধারণা আমার ছিল না। তখন আমি একটা প্রাইভেট বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলাম। প্রথম দুই দিন চেঞ্জ (বদল) করে করে ছিলাম। ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে আশ্রয় নিতে হবে, এরকম চিন্তা আমি তখন করিনি।

পাঁচই অগাস্টের আগে সরকারের পতনের কোনো আভাস পেয়েছিলেন কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আভাস ইঙ্গিতটা অবশ্যই ছিল। তবে এটা নিয়ে নানা জনের নানা অভিমত ছিল। এটা আসলে কী ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, সেটা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী, তারপরে সিভিল ব্যুরোক্রেসি, আমাদের পার্টির এমপি, মিনিস্টার অনেকেই ছিলেন। এ ধরনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘তবে একেবারেই পাঁচই অগাস্টে যেভাবে একটা বিস্ফোরণের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, অত্যন্ত অর্গানাইজড ওয়েতে, সেটা সেভাবে চিন্তা করা হয়নি। আমার মনে হয় ইন্টেলিজেন্স এই বাস্তবতাটাকে যথাযথভাবে বোঝাতে সক্ষম হয়নি।’

তাহলে কী গোয়েন্দাদের ঘাটতি ছিল, পরিস্থিতি বিবেচনা করতে ব্যর্থতা ছিল -তা পর্যালোচনা হয়েছে কিনা -এসব প্রশ্নে ওবায়দুল কাদেরের জবাবে আওয়ামী লীগের এতদিনের ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্বের’ অবস্থানই উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘এটা তো আসলে গণউত্থান বলা মোটেও সঠিক হবে না। এটা আসলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে, যা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক, ফার-রাইট শক্তির উত্থান বলা চলে। কারণ তারা অনেকে ৭১-এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছে। তারপরে অনেকেই কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে তখন তারা হয়তো প্রকাশ্য রাজনীতি থেকে দূরে ছিল এবং এরা অনেকেই ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী শক্তি। এদের ইন্ধনেই মূলত এবং এদের অংশগ্রহণেই এই উত্থান ঘটেছিল।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যে পরিস্থিতি অনুভব করতে পারিনি তা নয়। তবে এটা সরকার পতনের পর্যায়ে চলে যাবে এটা আমরা ভাবতে পারিনি।’

কাদের বলেন, ‘ এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে আমাদের নিজেদের মধ্যে। এ নিয়ে কথাবার্তা আছে, চর্চা আছে, চিন্তাভাবনা আছে, ভুল-ত্রুটির বিশ্লেষণও হয় নিজেদের মধ্যে আলোচনায়। তবে আমরা এখন ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে নিজেদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছি।’

একদিকে ছিল বাহিনীগুলোকে দিয়ে আন্দোলন দমনের চেষ্টা, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনগুলো মাঠে নেমেছিল। কীভাবে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সে সময়-এ প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বাহিনীগুলোকে ব্যবহারের দায় চাপিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর।

তিনি বলেন, ‘দেখুন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তারা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনেই কাজ করে। এবং আমরা আমাদের দলীয়ভাবে -আমাদের মূল দল, সহযোগী সংগঠন – আমরা সতর্কভাবে বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিতভাবে প্রস্তুত থাকতে আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। এখানেই আমাদের পার্টিকে আক্রমণ করার চেষ্টা হয়েছে বার বার। এ সময় আমরা আমাদের পার্টিকে সতর্ক পাহারায় থাকতে বলেছি। আক্রমণ হলেতো প্রস্তুত থাকতে হবে।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের জুলাইয়ের শুরু থেকে ১৫ ই অগাস্ট পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪০০ জন নিহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে পাঁচই অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে আটশো চৌত্রিশ জন নিহত হয়েছে। এত প্রাণহানির ঘটনার পরও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের এখনো কোনো অনুশোচনা নেই। এনিয়ে রয়েছে আলোচনা, সমালোচনা।

শেখ হাসিনাসহ দলটির নেতৃত্ব তাদের পতনের পেছনে ‘ষড়যন্ত্রের’ কথা বলছে। এই তত্ত্বের ওপর ভর করেই তারা ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে, এখনো পর্যন্ত এমনটাই মনে হচ্ছে দলটির নেতাদের কথায়।

তাদের এই অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝেও নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তারা আসলে ভুল স্বীকার করবে কিনা বা ক্ষমা চাইবে কিনা?

এ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য হচ্ছে, ‘একটা কথা আমি বলি আপনাকে। আমাদের মধ্যে চর্চা আছে। ঘটনার বিশ্লেষণে আমাদের ভূমিকা নিয়ে কথাবার্তা আছে। দেশের অভ্যন্তরে যখন শান্তি, স্থিতি আসবে এবং আমরা দেশের মাটিতে রাজনীতি যখন করতে পারবো, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যখন আমরা পরিচালনা করতে পারবো, যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে- মানুষকে নিয়ে আমাদের রাজনীতি, এদেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে আমরা কখনো পিছিয়ে থাকতে প্রস্তুত নই।’

বেশিরভাগ গুমের পেছনে প্রধান ভূমিকা পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি ও সিটিটিসির

কাদের বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার বিষয় দেশের মাটিতে। দেশের বাইরে থেকে আমরা ক্ষমাটা চাইবো কেমন করে? সব কিছুরই সূত্র হল দেশ। দেশের মাটিতে বসেই আমরা যদি কোনও কিছু অনুশোচনা, ক্ষমা এসব বিষয় যদি থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা দেশের মাটিতেই আমাদের যে বিশ্লেষণ, আমাদের যে রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা, তার প্রতিফলন অবশ্যই হবে।’

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
Awami League Bangladesh Politics banned political party BBC Bangla Obaidul Quader আওয়ামী লীগ আমি এখনো ওবায়দুল কাদের কাদের দলের নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ দল বিবিসি বাংলা বিবিসিকে মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার রাজনীতি সম্পাদক সাধারণ সাধারণ সম্পাদক হলেও
Related Posts
বিএনপির বিজয় দিবস

বিএনপির বিজয় দিবসের সব কর্মসূচি স্থগিত

December 1, 2025
Ata-Motaleb

দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা: মানিকগঞ্জে বিএনপির দুই নেতার অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ

November 30, 2025
Rijve

তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কবে, জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জানালেন রিজভী

November 30, 2025
Latest News
বিএনপির বিজয় দিবস

বিএনপির বিজয় দিবসের সব কর্মসূচি স্থগিত

Ata-Motaleb

দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা: মানিকগঞ্জে বিএনপির দুই নেতার অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ

Rijve

তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কবে, জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জানালেন রিজভী

Jamayat

ক্ষমতায় গেলে আন্দোলন লাগবে না, দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে যাবে : জামায়াত আমির

খালেদা জিয়ার

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে প্রতিবেদন

খালেদা জিয়া

পুত্রবধূর সঙ্গে কথা বলেছেন খালেদা জিয়া, সংকট কাটেনি এখনো

বুলু

সমন্বয়ের রাজনীতির ধারক খালেদা জিয়া : বরকত উল্লাহ বুলু

Bangladesh Nationalist Party

হাসপাতালে ভিড় না করতে নেতাকর্মীদের বিএনপির অনুরোধ

এনসিপির ৩ নেতা

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে এনসিপির ৩ নেতা

ডা. জাহিদ হোসেন

সবুজ সংকেত পেলেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়া হবে : ডা. জাহিদ হোসেন

  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.