জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আলা উদ্দিনকে (৩০) আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন কাদের মির্জার সহযোগী সালাহ উদ্দিন পিটন।
সোমবার (১৫ মার্চ) নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এ তিনি এ মামলা করেন। মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক এইচ এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান।
ওই মামলায় নিহত আলা উদ্দিনকে ৩৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী ১০৫ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও একশ থেকে দেড়শ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হাছান বলেন, আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চাপরাশিরহাট বাজারে হামলা চালায়। মেয়র কাদের মির্জার সত্যবচনে ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় হাসান ইমাম রাসেলসহ কতেক সন্ত্রাসীর পরিকল্পনায় আসামিরা অস্ত্র নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে হামলা চালিয়ে অনেককে আহত করে।
এদিকে গত ৯ মার্চ বসুরহাটে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শ্রমিকলীগ নেতা ও সিএনজিচালক আলা উদ্দিন। এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই মো. এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিলে সেখানে কাদের মির্জার নাম দেখে পুলিশ মামলা নেয়নি।
পরে গত রোববার (১৪ মার্চ) মামলাটি নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করলে বিচারক এ সংক্রান্তে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না তা ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন।
এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক মুজাক্কির নিহত হন। এ বিষয়ে থানায় করা মুজাক্কিরের বাবা নোয়াব আলী মাস্টারের মামলাটিও তদন্ত করছে নোয়াখালী পিবিআই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।