কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি: টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পানির চাপে ধসে গেছে উপজেলার অনেক এলাকার রাস্তা এবং বিভিন্ন জায়গায় কালভার্টের সংযোগ সড়ক ধসে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে উপজেলার সাথে বিভিন্ন ইউনিয়নের যোগাযোগ। পানিবন্দি হয়ে মানেবতর জীবন যাপন করছে ৬ শতাধিক বাড়ির বাসিন্দা।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে ১৭৬ হেক্টর ধান ও শাকসবজির খেত। ভেসে গেছে প্রায় ১০ হেক্টর পুকুরের মাছ। শনিবার রাত থেকে ভারী বর্ষণের কারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় অন্ধকারে রয়েছে গ্রামগুলো।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় আকস্মিক ঝড়ে কিশোরগঞ্জ সদর ও চাঁদখানা ইউনিয়নের ৩৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রোকসানা বেগম জানান, ‘হঠাৎ ঝড়ে বেশকিছু ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতি বর্ষণে ভেঙ্গে পড়া রাস্তা ঘাট পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।’
আজ দুপুরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করেছেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রোকসানা বেগম, এসিল্যান্ড মেহেদী হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত ও চাঁদখানা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।