কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি: ‘এক বৃদ্ধ মায়ের জন্য হুইল চেয়ারের আবেদন করছি। আমার পাশের গ্রামের এই বৃদ্ধ মায়ের বয়স বর্তমানে ৮৫ বছর। চলতে পারেন না, পিরার ওপর ভর দিয়ে চলতে হয় তাকে। গ্রুপের সদস্য হয়ে আপনাদের কাছে আকুল আবেদন এটি। দয়া করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন।’
এভাবে সম্প্রতি ফেসবুকে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের ‘মাগুড়া স্বাধীন বাংলা ক্রীড়া চক্র’র সদস্যরা তাদের গ্রুপে আবেদন করলে তা নজরে পড়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রোকসানা বেগমের। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মুঠোফোনে ওই বৃদ্ধার খোঁজখবর নেন এবং একটি হুইল চেয়ার প্রদানের আশ্বাস দেন।
আজ বুধবার বিকাল ৫টায় উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওর্য়াডের মাগুড়া উত্তর পাড়ায় ওই বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে একটি হুইল চেয়ার নিয়ে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রোকসানা বেগম। তিনি নিজেই বৃদ্ধাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে ওই বৃদ্ধার সাথে কথা বলেন। তার শারীরিকসহ অন্যান্য খোঁজ খবর নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হোসেন শিহাব, মাগুড়া স্বাধীন বাংলা ক্রিড়া চক্রের রিপন ও সাদেকুল।
জানা গেছে, বিধবা মরিজন নেছার বয়স ৮৫। বয়সের ভারে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। আর্থিক অভাবের কারণে পিরার উপরে ভর করে ও অন্যের সহযোগিতায় চলতেন। আজ থেকে তাকে আর এভাবে কষ্ট করে চলতে হবে না। হুইল চেয়ারের চাকা ঘুরিয়ে তিনি এখন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন।
বৃদ্ধা মরিজন নেছার হুইল চেয়ার পেয়ে আনন্দে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতে পারবো কখন ভাবিনি। ইউএনও স্যারের কারণে আমি এখন চেয়ারের বসে চলাফেরা করতে পারবো। আল্লাহ তার ভালো করুক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রোকসানা বেগম বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকের মাধ্যমে এ বিষয়টি জানতে পারি। ডিসি স্যারও পোস্টটি দেখেছেন। ডিসি স্যারের নির্দেশানয় ওই বৃদ্ধা মাকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হলো। ওই বৃদ্ধার যাতে আর্থিক সমস্যা না হয় সেজন্য তাকে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর আওতায় নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।