নীলফামারী প্রতিনিধি: ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সৃষ্ট মাসব্যাপী বন্যায় এ বছর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশ চাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের তিস্তা অববাহিকার চর ও গ্রামগুলো।
বন্যার পানি কমলেও এখনও কষ্টে দিনযাপন করছে বন্যাদুর্গত এসব এলাকার মানুষ। এই কষ্ট একটু লাঘব করার জন্য প্রত্যাশা’৮৬ নামক একটি সংগঠনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আজ (১৭ আগস্ট) ডিমলার এই চারটি ইউনিয়নের দুই শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য ও জরুরি সামগ্রী বিতরণ করেছে রংপুর বিভাগ সমিতি, ঢাকা।
উপজেলার খগাখড়িবাড়ি বেড়িবাঁধ ও তিস্তা ডিগ্রি কলেজ মাঠে বন্যার্তদেরকে চাল, ডাল, আলু, সয়াবিন তেল, সাবান ও লবনসহ বিভিন্ন খাদ্য ও জরুরি সামগ্রী প্রদান করা হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল জুমবাংলার সম্পাদক ও রংপুর বিভাগ সমিতি, ঢাকা’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মেজর, ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, ডিমলা উপজেলার এসিল্যান্ড মীর মো. আল কামাহ তমাল, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম লিথন এবং উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান।
এছাড়া, সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন প্রত্যাশা’ ৮৬ এর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোরশেদুল হক, আনিসুর রহমান, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান টিকেন চন্দ্র রায় মিরু এবং নাসিম উদ্দিন।
রংপুর বিভাগ সমিতি, ঢাকা’র সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি আবু কালাম সিদ্দিক জানান, ‘দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া কর্মসূচিতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম আমাদের সংগঠন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। রাজধানী ঢাকা ও রংপুর বিভাগের আট জেলার পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষকে খাদ্য ও জরুরি সামগ্রী প্রদান করে।’
তিনি বলেন, ‘করোনার মধ্যে বন্যার হানায় আরও অসহায় হয়ে পড়েছে রংপুর বিভাগের নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা জেলার ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা অববাহিকার মানুষ। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি আমাদের সংগঠনও এসব অসহায় মানুষকে সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় বন্যার্তদেরকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হলো।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।