রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এসব তথ্য জানান গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরাল পাগলার দরবারে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় একজন নিহত এবং দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়।
পরে পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার দিন রাতেই গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতের ঘটনায় আমাদের ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এছাড়া আমাদের দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
রাজবাড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, গতকাল বিক্ষুব্ধ জনতা গোয়ালন্দের নুরাল পাগলের দরবার শরীফে হামলা চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে তখন তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এ সময় আমাদের দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও মরদেহ উত্তোলন করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার পর দরবারের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, ধ্বংসস্তূপ দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।