জুমবাংলা ডেস্ক : যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে করা মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমসহ চার পুলিশ সদস্যের গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি ফেনী জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখায় তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান, উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-মানবসম্পদ) এস এম রুহুল আমিন বলেন, ‘রাতে রিপোর্ট দিয়েছি। তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে তাদের কারো নামই বাদ দেওয়া হয়নি। পুলিশের সদস্যসহ পাঁচজনের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। আর কিছু বলা যাবে না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম ও এসপি জাহাঙ্গীরসহ স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ সদর দপ্তর ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করে। সময় না বেঁধে দেওয়া হলেও কমিটির সদস্যরা দ্রুততার সঙ্গে তদন্তকাজ শেষ করেছেন।
তদন্ত কমিটি ফেনীর পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমসহ সংশ্লিষ্ট ১০ পুলিশ সদস্য, মাদরাসা কমিটি, স্থানীয় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের প্রতিনিধি মিলে অন্তত ৩৭ জনের বক্তব্য নিয়েছে। এতে ওসি মোয়াজ্জেম, এসপি জাহাঙ্গীরসহ পুলিশের চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।