জুমবাংলা ডেস্ক : মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফীর গায়ে আগুন দেওয়ার সময় তার সহপাঠী মহিউদ্দিন শাকিল তার জবানবন্দিতেও গেইটে পাহারায় থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার শাকিল আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসেনের আদালতে শাকিল জবানবন্দি দেন।
এর আগে ইফতেখার হোসেন রানা ও এমরান হোসেন মামুন গত ৬ এপ্রিল আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে শাকিলের গেইট পাহারা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ফেনীর পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, মাদ্রাসার সাইক্লোন সেন্টারের ছাদে নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার সময় মহিউদ্দিন শাকিল মাদ্রাসার গেইট পাহারায় নিয়োজিত ছিল বলে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে।
“নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার পর তার পাহারায় অপর আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে কেউ পালিয়ে যায়, কেউ পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিতে চলে যায়। পরে সে নিজে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে নিজের পরীক্ষা দেয়।”
গত ২ মে মহিউদ্দিন শাকিলকে আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত জাহান রাফি আলিমের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসায় গেলে কয়েকজন লোক তাকে মাদ্রাসার সাইক্লোন সেন্টারের ছাদে নিয়ে যায় এবং অধ্যক্ষ (বরখাস্ত) সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত তাতে রাজি না হলে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ১০ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান গত ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। এদের মধ্যে সিরাজ উদ দৌলাসহ ১২ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।