জুমবাংলা ডেস্ক : মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নি’পীড়নের পর আগুনে পু’ড়িয়ে হ’ত্যায় দায়ের করা মামলায় দুই চিকিৎসক আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
সোমবার ফেনীর নারী ও শিশু নি’র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে উপস্থিত হয়ে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আরমান বিন আব্দুল্লাহ ও ফেনীর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তাহের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌঁসুলি পিপি হাফেজ আহাম্মদ বলেন, নুসরাত হত্যা মামলায় মঙ্গলবারের ধার্য তারিখে বিচারক, ডাক্তারসহ ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার এ মামলার আরো ৮ জনের সাক্ষ্য প্রদানে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
তিনি আরো বলেন, আলোচিত এ হত্যা মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত বাদীসহ ৬৩ জনের সাক্ষগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আরমান বিন আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গত ৬ এপ্রিল সকালে পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন ব্যক্তি একটি অগ্নিদগ্ধ একটি মেয়ে নিয়ে আসেন। তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। দেহের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছিল। তার নাম নুসরাত জাহান রাফি পরে জানতে পারি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই।’
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু তাহের বলেন, গত ৬ এপ্রিল নুসরাত জাহান রাফিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। তার শরীরের সত্তর থেকে আশি ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। এ হাসপাতালে তার চিকিৎসা করার সুযোগ না থাকায় তাকে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে নিয়ে যাবার পরামর্শ দিই। তার স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করায়।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী পিবিআইয়ের ওসি মো. শাহ আলম বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে আদালতে নুসরাত হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৬ আসামি উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি পক্ষের কৌঁসুলিরা তাদের জেরা করেন।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নি’পীড়ের দায়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।
এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।