স্পোর্টস ডেস্ক: নেইমারকে প্যারিস থেকে সৌদি আরবে আনতে রীতিমতো এলাহি কাণ্ড করতে হয়েছে আল হিলালকে। বছর প্রতি ১০ কোটি ইউরো পারিশ্রমিকের পাশাপাশি নেইমার ও তার প্রেমিকার জন্য ২৫ কক্ষের বাড়ি, ৮টি গাড়ি, ব্যক্তিগত বিমান, বেড়ানো ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়ার খরচ সব কিছুই বহন করবে সৌদির ক্লাবটি।
এমনকি নেইমারকে নিয়ে আসতে বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল বিমান প্যারিসে পাঠিয়েছিল আল হিলাল। এরপর এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে ব্রাজিলিয়ান এই তারকার পরিচয় করিয়ে দেয় ক্লাবটি।
সৌদিতে গিয়ে এখনও নিজের বাড়িতে ওঠেননি নেইমার। সাময়িকভাবে তিনি উঠেছেন বিলাসবহুল ফোর সিজনস হোটেল এন্ড রিসোর্টে।
হোটেলেই নেইমারকে বিলাসবহুল সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছে আল হিলাল। সেখানে রয়েছে একটি শপিংমল যেখান থেকে নেইমার ও তার প্রেমিকা ব্রুনা বিয়ানকার্দি কিনতে পারবেন নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যাদি। এছাড়া স্পা সেন্টার, বড় সুইমিংপুল, স্কোয়াশ খেলার কোর্ট আছে সেই হোটেলে।
দুবাইয়ের ফোর সিজনস হোটেলে রয়েছে দুটি বিশেষ ‘প্রেসিডেন্সিয়াল’ কামরা। বিলাসবহুল সেই কামরা দুটির একটিতে থাকছেন নেইমার ও ব্রুনা।
এই দুটি কামরার একটির নাম ‘কিংডম’, আরেকটির নাম ‘রয়্যাল’। দুটি কামরার ভাড়া কতো সেটি জানা যায়নি কেননা ফোর সিজনসের ওয়েবসাইটে এই কামরা দুটি বুকিং দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।
তবে জানা গেছে হোটেলের ৪৮তম তলায় ‘কিংডম’ ও ৫০তম তলায় ‘রয়্যাল’ অবস্থিত। পুরো রিয়াদ শহর এই দুটি কামরা থেকে দেখা যায়।
এছাড়া হোটেলে নেইমার আরও পাচ্ছেন স্পা সেন্টারেও বিশেষ সেবার ব্যবস্থা। সেখানে মরোক্কান বাথ, স্টোন ম্যাসাজ, সনা, জাকুজ্জি ও কম তাপমাত্রার পুল রয়েছে। পাশাপাশি হোটেলটিতে জিমনেসিয়াম আর টেবিল টেনিস কোর্ট তো আছেই।
হোটেলে দুটি বিশাল বলরুম ছাড়াও দুটি রেস্টুরেন্ট আছে। সেখানে চাইনিজ, জাপানিজ, ভারতীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।