বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রথমবারের মতো নেটওয়ার্ক শেয়ার করতে যাচ্ছে দেশের দুই মোবাইল অপারেটর টেলিটক ও বাংলালিংক। টেলিটকের দুর্বল জায়গায় বাংলালিংক ও বাংলালিংকের দুর্বল জায়াগায় টেলিটক নেটওয়ার্ক শেয়ার করবে। এই সেবার মাধ্যমে গ্রাহক বাড়ার পাশাপাশি আয় বাড়বে বলে আশা দুই অপারেটরের।
বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোন ১৮ কোটি ৯১ লাখ। এর মধ্যে বাংলালিংকের গ্রাহক ৪ কোটির বেশি এবং সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ৬৪ লাখ। বাংলালিংকের ১৫ হাজার সাইট থাকলেও টেলিটকের ৬ হাজারের বেশি।
সেবার মান বাড়াতে এবার নেটওয়ার্ক শেয়ারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেলিটক ও বাংলালিংক। চলতি মাসের শুরুতেই দুই অপারেটরের মোট ২০০টি জায়গায় সেবাটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। তিন মাস পর নতুন বছরের ৩১ জানুয়ারি টেলিলিযোগাযাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কাছে জমা দেওয়া হবে প্রতিবেদন।
ইতিবাচক ফল পেলে ফেব্রুয়ারিতেই বাণিজ্যিকভাবে নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ে যাওয়ার কথা অপারেটর দুইটির। এই সেবা থেকে অর্জিত আয় ভাগাভাগি করবে তারা।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই উদ্যোগটি টেলটকের জন্য সুফল বয়ে আনবে। ইতিবাচক ফল অন্য অপারেটরদেরও নেটওয়ার্ক শেয়ারের বিষয়ে উৎসাহিত করবে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘সেবার মান উন্নত করতে অন্য অপারেটরদের মাঝেও নেটওয়ার্ক শেয়ারিং প্রয়োজন। তবে একটি অপারেটর অন্যটির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লে সেবায় ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।’
এজন্য নির্ধারিত সময়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে নেটওয়ার্ক আপডেট করার পরামর্শ তাঁর।
এই সেবার মাধ্যমে শুধু ভয়েস কল নয় এসএমএস ও ডেটাও ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। বর্তমানে যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ ২২টি দেশে চালু আছে এই সেবা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।