আরেকটি জেন-জি জোয়ার দেখলো বিশ্ব। এবারের মঞ্চ নেপাল। মাত্র দুইদিনের এক ঝড়ে ওলটপালট হয়ে গেল পুরো দেশের শাসন ব্যবস্থা। সংসদ ভবন এলাকা থেকে শুরু করে সরকারি বেশ কিছু স্থাপনা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন বিপ্লবীরা। বাদ যায়নি মন্ত্রী-এমপিদের বাড়িঘরও। বিপ্লবের লেলিহান শিখায় যখন পুড়ছিল নেপাল, তখন নির্ঘুম রাত কেটেছে পাশের দেশ ভারতেরই এক নেতার। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) একটি ভিডিও পোস্ট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পোস্টে দেখা যাচ্ছে, বাসভবন উত্তরকন্যায় বসে আছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। ব্যস্ত নিজের কাজে। সংশ্লিষ্ট ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘প্রতিবেশী দেশ নেপালের অবস্থা উদ্বেগজনক। তাই রাজ্যের স্বার্থে, রাত জেগে উত্তরকন্যায় বসে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি নাইন বাংলার।
বর্তমানে শিলিগুড়ি রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে তার। এদিকে, প্রতিবেশী নেপালের অবস্থা ভয়াবহ। বিগত দুদিন সে দেশের পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এমতাবস্থায় রাত জেগে উত্তরকন্যায় বসে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
মূলত, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদে জ্বলছে নেপাল। রাজধানী কাঠমান্ডু ছাড়াও নেপালের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশটিতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পদত্যাগ করে পালিয়ে গেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। রাস্তায় গণপিটুনির শিকার হয়েছেন অর্থমন্ত্রী। নেপালে জেন-জির সেই আগুনে আঁচ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। প্রতিবেশী দেশের অশান্তির জেরে ভারত-নেপাল বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যে। এই আবহের মধ্যেই দুঃশ্চিন্তা ভর করেছে পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রীর ওপর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বিশেষ-বিশেষ ঘটনার সময় রাত জেগে নজরদারি রাখার অভ্যাস আছে মমতার। এর আগে ঘূর্ণিঝড় দানার সময়ও রাত জেগে নবান্ন থেকে পরিস্থিতি নজরে রাখেন। কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন তিনি। কম্পিউটারের মনিটরে চোখ রাখেন সর্বক্ষণ। সব কিছু বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এবারও তার অন্যথা হলো না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।