নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি প্রথমবার গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন। তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, দুর্নীতি তদন্ত, জেন জি আন্দোলনের সহিংসতার বিচার এবং মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে খোলাখুলিভাবে কথা বলেছেন।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কার্কি জানিয়েছেন, আগামী বছরের ৫ মার্চ ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি স্বীকার করেছেন, সময়মতো সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, “আমি দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করব। ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা সম্ভব। দায়িত্ব শেষ করে নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিয়ে সরে যেতে চাই।”
দুর্নীতি তদন্তে একটি ১০-১১ সদস্যের কমিশন গঠনের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। কার্কি বলেন, “দুর্নীতির রূপ ও আকার বুঝতে তদন্ত শুরু করতে হবে। তদন্ত ছাড়া এই জাতি শান্তি পাবে না। আমরা এই কাজ শুরু করব, পরবর্তী সরকার এটি এগিয়ে নেবে।”
জেন জি আন্দোলনের সময় সম্পত্তি ও প্রাণহানির ঘটনাগুলোর তদন্তেও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের হাতে ছয় মাস সময়। ওই তদন্ত এক মাস, সর্বোচ্চ দেড় মাসে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে কার্কি জানিয়েছেন, দলীয় নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করবেন না। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন রাজনৈতিক দল থেকে প্রতিনিধি নিতে। কিন্তু আমি চাই স্বতন্ত্র, অরাজনৈতিক মানুষদের। আদিবাসী, দলিত, নারী ও অনগ্রসর শ্রেণি থেকে সদস্য আনতে চাই। নির্বাচনের আগে যেন মন্ত্রিসভা রাজনৈতিক সুবিধা না নেয়, সেটিই মূল লক্ষ্য।”
জেন জি আন্দোলনের কিছু অংশ ইতিমধ্যেই নতুন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কার্কি বলেন, “আমরা পদ চাইনি। ছাত্রদের হত্যার পর আমরা মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাব দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সব দাবি হয়তো পূরণ করতে পারব না, তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।