নেপালে চলমান ‘জেনারেশন জেড’ বা ‘জেন-জি’ বিক্ষোভে দেশটির পুলিশের তথ্য অনুযায়ী অন্তত ৫১ জন নিহত এবং ২৮৪ জন আহত।
নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ডিআইজি বিনোদ ঘিমিরে জানান, নিহতদের মধ্যে ২১ জন বিক্ষোভকারী, তিনজন পুলিশ সদস্য, ৯ জন বন্দি, ১৮ জন অন্যান্য এবং একজন ভারতীয় নারী রয়েছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৮৪ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন, আর এক হাজার ৭৭১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় সরকার ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেমন ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউব, নিষিদ্ধ করার পর। গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হন, যার মধ্যে অনেকেই স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও সরকারি দুর্নীতি ও পুলিশি দমননীতির প্রতি ক্ষোভে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবন এবং শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন, কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দর বন্ধ হয়েছে এবং সেনাবাহিনী কিছু মন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে শীতল নিবাসে এক অনুষ্ঠানে নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল তাকে ৬ মাসের মধ্যে নতুন সংসদীয় নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেন। এই নিয়োগে সংবিধান রক্ষা এবং জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।