
মঙ্গলবার অভিযানে গিয়ে সুপরিচিত এই হোটেলটির রান্নাঘর অপরিষ্কার ও নোংরা পেয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব কবির মিলন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে হোটেল নূরজাহানকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা মাহবুব কবির মিলন বলে, কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শান্তুনু চৌধুরী এবং জোতিশ্বর পালের নেতৃত্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের পাশে অবস্থিত কুমিল্লা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় হোটেল নূরজাহান, হোটেল তাজমহল এবং হোটেল টাইম স্কয়ারসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানেই রান্নাঘরে অত্যন্ত নোংরা পরিবেশ এবং রেফ্রিজারেটরে কাঁচা মাছ-মাংস ও রান্না করা খাবার একসঙ্গে খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়। এসব অপরাধের কারণে হোটেল নূরজাহানকে ৫ লাখ টাকা, হোটেল তাজমহলকে ৩ লাখ টাকা এবং হোটেল টাইমস্কয়ারকে ৩ লাখসহ মোট ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। টাকা অনাদায়ে টাইমস্কয়ারের ম্যানেজারকে এক মাসের কারাদণ্ডও দেয়া হয়।
অভিযানকালে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোহা. কামরুল হাসান এবং মো. মিজানুর রহমান শিকদার উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুব কবির মিলন বলেন, অভিযান পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তারা কিচেনের পরিবেশ উন্নত না করলে চরম ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
খাবারের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, দামের বিষয়ে আমাদের করণীয় কিছু নেই। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের (এমআরপি) চেয়ে বেশি দাম রাখা হলে ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করতে হবে মেমো বা রশিদ দিয়ে। মূল্যতালিকা দেয়া থাকলে কারও করার কিছু নেই। ধরে নেয়া হয় ভোক্তা তা জেনেই খেয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



