জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় করা মামলায় সাজু ও সোহাগ নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ অক্টোবর) দিনগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেকে গ্রেফতার করে। দেশব্যাপী আলোচিত সমালোচিত এই ঘটনার মূলহোতা দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, মামলার প্রধান আসামি বাদলসহ এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ (৬ অক্টোবর) বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দুটি মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া মো. রহিম ও রহমত উল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে মোট ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ছাড়া ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে গ্রেফতার হওয়া মামলার ১ নম্বর আসামি বাদলকে গতকাল রাতে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-১১-এর সদস্যরা। বাদল, সাজু ও সোহাগকে আজ আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে ভুক্তভোগী নারী (৩৭) মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন। ঘটনার ৩২ দিন পর গত রোববার ওই নারী বেগমগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেন। একটি মামলা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে, অন্যটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে। দুই মামলাতেই নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন- বাদল, মো. রহিম, আবুল কালাম, ইস্রাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্যা। তাঁদের সবার বাড়ি বেগমগঞ্জে। তাঁরা সবাই একলাশপুরের দেলোয়ার বাহিনীর সদস্য। মামলায় দেলোয়ারের নাম নেই। তবে দুটি মামলায় অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।