জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক এক বিধবা মুসলিম নারীকে (৩৯) ধর্ষণের অভিযোগে এক ফেরিওয়ালাকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ধর্ষক ফেরিওয়ালা শ্রীবাস দেব নাথ (৪৩) উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ফজরম মাঝি এলাকার সুনীল দেব নাথের ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গামছাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা নারী রাতে নিজেই বাদী হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ গামছাখালী গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরো জানান, আটক ফেরিওয়ালা সাইকেলে করে ফেরি করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে বাদাম, মোল্লা বিক্রি করত। বৃহস্পতিবার সে ফেরি করতে যায় দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামে। ওই সময় বিধবা নারীর মা ঔষধ কিনতে পাশের বাজারে ছিল। ছেলে বাইরে কাজ করতে যায়। বিধবা নারী একা রান্নাঘরে রান্না করছিল। ফেরিওয়ালা বিধবা নারীকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে বিধবা নারীর শৌর চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ।
অপরদিকে, হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ দুই যুবককে আটক করেছে।
ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আটককৃতরা হলো- উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের ফজরম মাঝি গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (২০) ও একই এলাকার মো. শিপনের ছেলে আলা উদ্দিন (২২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ফরাজী গ্রামের কিশোরী (১৬) মোবাইলে মনির হোসেন নামে এক যুবকের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে মনির ও তার বন্ধু আলা উদ্দিন তাদের বাড়িতে আসে। ওই সময় বাড়িতে কিশোরীর বাবা-মা ছিল না। কিশোরীর মা চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম, তার বাবা ব্যবসায়ীক কাজে বাজারে অবস্থান করেছিল। বাড়িতে একা পেয়ে মনির ও তার বন্ধু আলা উদ্দিন জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে কিশোরীর চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য ঘরের লোকজন এসে দুজনকে ঘরের মধ্যে ধরে পেলে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীর বাড়ি থেকে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার রাত (২৯ অক্টোবর) বাবা বাদী হয়ে মনির ও আলা উদ্দিনকে আসামি করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করে।
তদন্ত পরিদর্শক কাঞ্চন কান্তি দাস জানান, গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার দুপুরে বিধবা নারীর মামলার আলোকে আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে
আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। আর ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আটক দুই যুবককেও বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।