রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: ইলিশ মৌসুম সামনে রেখে উপকূলে মাছ ধরার নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা। নতুন নৌকায় ইঞ্জিন বসানোসহ রংয়ের কাজও চলছে পুরোদমে।
জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলা রাঙ্গাবালী উপজেলার অসংখ্য মানুষ সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর নদী বা সাগরে মাছ ধরার অন্যতম উপকরণ হচ্ছে নৌকা বা ট্রলার। প্রতিবছর ইলিশ মৌসুম সামনে রেখে এসব এলাকায় নৌকা তৈরি ও মেরামতের কাজ চলে।
এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি জোরেশোরে চলছে নৌকা তৈরির কাজ। তাই বাজারে কাঠের দাম একটু বেশি হলেও কারিগররা নৌকা তৈরিতে মনোযোগ দিয়েছেন।
সরজমিন চরমোন্তাজ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নৌকা তৈরি ও মেরামতের এই দৃশ্য চোখে পড়েছে। আর কাঠমিস্ত্রীদের পাশাপাশি নৌকার মালিকরা নৌকা তৈরির উপকরণ সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের মোঃ শাহ আলী বলেন, আমাদের চরমোন্তাজ ইউনিয়নের প্রায় দশ হাজারের বেশি মানুষ মৎস্যজীবী। এরা সাগরে মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আমাদের জীবন-জীবিকার সাথে নৌকা-ট্রলার জড়িত। একটি নৌকা বানাতে খরচ হয় দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা। আর বড় ট্রলার হলে কমপক্ষে ৫ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা খরচ পড়ে।
দক্ষিণ চরমোন্তজ গ্রামের নৌকার কারিগর (কাঠমিস্ত্রী) মোহাম্মদ আলী কামাল জানান, ছোট-বড় নৌকা তৈরিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের কাঠ ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে চামবুল, মেহেগুনী, আকাশি, কাঁঠাল ও কড়ই গাছের কাঠ বেশি ব্যবহার হয়।
তিনি আরও জানান, এই উপজেলায় প্রায় শতাধিক কাঠমিস্ত্রী রয়েছে। বেশি কম সকলে এখন নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
চরমোন্তাজ বাজার খাল পাড়ে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কাঠমিস্ত্রী মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন,প্রতিবছর এ সময়ে নৌকা বানানোর হিড়িক পড়ে যায়। একটি নৌকা বানাতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে। নৌকার আকার ও প্রকার ভেদে মজুরি নেওয়া হয়। তবে একটি নৌকা বানাতে কমপক্ষে ৪০-৬০ হাজার টাকা মজুরি আসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।