জুমবাংলা ডেস্ক: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নৌপরিবহন খাতে ১০ হাজার ৮০১ কোটি টাকার পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে।
গত অর্থবছরে এই খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৭ হাজার ২২৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রস্তাবিত বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের আমদানী-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯৫ শতাংশ সমুদ্র বন্দরসমূহের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এছাড়া যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে স্থল ও নৌবন্দরসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি রপ্তানি বাণিজ্য এবং দেশি-বিদেশি বাণিজ্য সম্প্রসারণে অন্যতম লজিস্টিকস হল বন্দরসমূহ। ফলে শুরু থেকেই সমুদ্রবন্দর, নৌ ও স্থল বন্দর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার উৎকর্ষ সাধনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বন্দরসমূহে জাহাজ আগমন ও পণ্য হ্যান্ডলিং এর পরিমাণ প্রতিবছরই ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গভীর সমুদ্রে কন্টেইনার সংরক্ষণ ও কন্টেইনার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বর্তমানে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া মোংলা বন্দরকে একটি আধুনিক সমুদ্র বন্দরে রূপ দেয়ার জন্য কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং, আধুনিক বর্জ্য ও নিসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা, সহায়ক জলযান সংগ্রহ, নতুন জেটি নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে পায়রা বন্দরকে একটি বিশ্বমানের সমুদ্রবন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের উদ্দেশ্যে ঢাকার চারপাশে ১১০ কিলোমিটার বৃত্তাকার নৌ-পথ নির্মাণ করা হয়েছে, বর্তমানে এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলমান রয়েছে। বিগত ১৪ বছরে মৃত বা মৃতপ্রায় নদীতে খনন ও ড্রেজিং এর মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৭২০ কিলোমিটার নৌ-পথ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।