জুমবাংলা ডেস্ক: জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চার দিনের সরকারি সফরে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে বাকু হায়দার আলিয়েভ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। পরে প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে বাকুর হোটেল হিল্টনে নিয়ে যাওয়া হয়। আজারবাইজান সফরকালে তিনি এখানেই অবস্থান করবেন।
১২০টি উন্নয়নশীল দেশের ফোরাম ন্যামের দুই দিনের সম্মেলনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ (শুক্রবার) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর কংগ্রেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮তম ন্যাম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।
অনুষ্ঠান স্থলে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকার ন্যাম নেতৃবৃন্দদের অভ্যর্থনা জানাবেন।
অন্যান্য ন্যাম নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকু কংগ্রেস সেন্টারের প্ল্যানারী হলে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রের লাঞ্চন হলে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে প্রতিনিধিদলের প্রধানদের জন্য দেয়া ওয়ার্কিং লাঞ্চন-এ যোগ নেবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হায়দার আলিয়েভ সেন্টারে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন, প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সঙ্গে ওয়ার্কিং লাঞ্চন ও সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।
তিনি হিলটন বাকুতে একই সঙ্গে আজারবাইজানের দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেয়া নৈজভোজে অংশ নিবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আজারবাইজানে চার দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় বাকু হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
বিমানটি ওইদিন সন্ধ্যা ৭টা ৪৫মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
ন্যাম বিশ্বের ১২০টি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি ফোরাম, যা বড় কোনো পাওয়ার ব্লকের সঙ্গে বা বিপক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত নয়। জাতিসংঘের পর এটি বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রগুলোর বৃহত্তম গ্রুপিং।
ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু ও সাবেক যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেপ ব্রোজ টিটোর উদ্যোগে ১৯৫৫ সালে বান্দুং সম্মেলনে সম্মত নীতিমালা প্রণয়নের পর ১৯৬১ সালে যুগোস্লাভিয়া বেলগ্রেডে ন্যামটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ভেনেজুয়েলার মারগারিটা দ্বীপে ২০১৬ সালে ১৭তম ন্যাম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো হলেন চলতি ন্যাম সম্মেলনের চেয়ারপারসন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।