জুমবাংলা ডেস্ক : নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের এক ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন।
এর আগে, শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে নড়াইল শহরের এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তার বাড়ি নড়াইলের চাঁচুড়ি ইউনিয়নের আরাজি বাঁশগ্রামে। তিনি নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগীর স্বজনেরা জানান, ঘটনাস্থল থেকে মেয়েকে উদ্ধারের পর কিছুটা সে অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তার মধ্যে ভয় কাজ করছে। স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছে না।
ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়ে প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে বাড়ি থেকে নড়াইল শহরে প্রাইভেট পড়তে আসে। দুপুরে বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেয়েটির নতুন ফোন নম্বর থেকে তার বাবার নম্বরে ফোন করে মেয়ের মুক্তিপণের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু জানান, মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। এছাড়া তাকে ধর্ষণ বা শারীরিকভাবে অন্য কোনো ক্ষতি করা হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষার পর জানা যাবে।
নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।