পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের লালসার শিকার হয় আল রাফি (১২) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের মত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাতে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাতঁরকাঠী ইউনিয়নের বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কাওমিয়া হাফজিয়া ও নুরানী কিল্ডার গার্ডন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আল রাফি উপজলার নাজিরপুরর বড়ডালিমা গ্রামর খালিফা বাড়ির রেজাউল আকনের ছেলে। ওই মাদ্রাসার হাফেজ বিভাগের ছাত্র ছিল এবং মাদ্রাসায় থেকেই লেখাপড়া করতো।
নিহতের পরিবার জানায়, মাদ্রাসারটির পরিচালক ও শিক্ষক সেলিম গাজী ভয়ভীতিসহ বিভিন্ন কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে শিশু রাফিকে বলৎকার করে আসছে। গত তিন সপ্তাহ আগে শিশুটি পেটের ব্যথাসহ নানান শারীরিক সমস্যার কথা তার মা বাবাকে জানায়। এরপর তারা শিশুটিক বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয় গেলে সেখান তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকরা জানান শিশু রাফির মলদারে ক্যান্সার হয়েছে, যা ওর শরীরের রক্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় জাতীয় ক্যান্সার গবেষনা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। সেখান চিকিৎসারত অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড় ৮টার সময় শিশু আল রাফির মত্যু হয়।
শিশু রাফির বাবা রেজাউল আকন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার সন্তানটিকে দিলাম হাফেজ হতে আর সে হয়ে গেলো লাশ। আমি এই হত্যার বিচাই চাই।
অভিযুক্ত মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক হাফেজ সলিম গাজী পলাতক রয়েছেন এবং মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাজিরপুর-তাঁতরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মহসিন এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক জানান, এই বিষয়ে সকল প্রকার আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।