পটুয়াখালী প্রতিনিধি: ঘুর্ণিঝড় ‘ফণী’ আঘাত হানতে পারে এমন শঙ্কায় উপকূললীয় জেলা পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকার মানুষের মধ্যে এক ধরনের উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) ঘুর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটাসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় দমকা বাতাস বইছে। সেই সঙ্গে দুই দফা হাল্কা বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ট জনজীবন। পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্গেত দেখিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় দুপুর সাড়ে ১২টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোষ্টগার্ড, পুলিশ ,ফায়ার সার্ভিসসহ সেবাদানকারী সংস্থার কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। সভায় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানার আগেই দুর্গত এলাকা থেকে যেন মানুষদের সরিয়ে নেয়া যায় এবং সকল সাইক্লোন শেল্টারগুলো ব্যবহার করা যায় সে জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়।
বৈঠকে জানানো হয়েছে জেলায় ৩৯১টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ১১১টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩৮৭ মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য, ২৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে।
সকাল থেকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিপিপি’র প্রায় ৬৫২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সাধারণ জনগনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার আহবান জানাচ্ছেন। এছাড়া জেলা খাদ্য বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসকে দুর্যোগ পরবর্তী যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োহনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ সকল রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। সেনাবাহিনীর চারটি টিম জেলার ৮টি উপজেলা দূর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করবে বলে সভায় জানানো হয়।
জেলার সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার সিপিপি ভলান্টিয়ারদের সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel