জুমবাংলা ডেস্ক: গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী এলাকায় পুলিশের সোর্স জাকির হোসেন (৬০) হত্যা মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মামলার প্রধান আসামি মো. বিল্লাল হোসেন (২৭) ও হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ও হুকুমদাতা মামলার এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি মোছা. ঝর্ণা আক্তার (২১)।
আজ বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার শিলমুন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১ এর কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন পশ্চিম পাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রতার জেরে পুলিশের সোর্স জাকির হোসেনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জাকির হোসেনের দুই পায়ের উরু এবং শরীরের একাধিক স্থানে এলোপাতাড়ি ধারালো ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান জানান, এই হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১ তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকারীদের ধরতে সাথে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টঙ্গী পূর্ব থানার শিলমুন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আসামিদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু (সুইচ গিয়ার) ও দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, তারা সবাই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। এর আগে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও জোড়া খুনের অপরাধে আসামি বিল্লাল জেল খেটেছে। অপর আসামি ঝর্ণা আক্তার গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।
র্যাব আরও জানায়, নিহত পুলিশের সোর্স জাকিরের কারণে এলাকায় তাদের মাদক ব্যবসায় বিঘ্ন ঘটে এবং বিল্লাল ও ঝর্ণা আক্তারের স্বামীকে আটকের পেছনে সোর্স জাকিরের ভুমিকা রয়েছে বলে তারা জানতে পারে। এরই প্রতিশোধ হিসেবে আসামিরা তাদের পথের কাঁটা জাকিরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।
ঘটনার দিন দুপুর বেলায় তাদের পরিকল্পনা মতো টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন পশ্চিম পাড়া এলাকায় জাকিরকে একা পেয়ে আসামি বিল্লাল তার কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে জাকিরের দুই উরুতে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। ফলে ঘটনাস্থলেই জাকির রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে উক্ত এলাকাবাসী জাকিরকে উদ্ধার করে নিকটস্থ টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।