জুমবাংলা ডেস্ক : ইস্তফা দিয়েও প্রায় দশ বছর দিব্যি স্বপদে বহাল বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী এএসএম দেলোয়ার হোসেন। তিনি বর্তমানে রাজশাহীর পবায় দফতর প্রধান হিসেবে কর্মরত। ২০১৪ সালের ১৯ আগস্ট থেকে পবায় দায়িত্ব পালন করছেন দেলোয়ার হোসেন।
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল পদত্যাগপত্র জমা দেন দেলোয়ার হোসেন। তখন তিনি রাজশাহীর তানোরে একই পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর তানোরে যোগদান করেন।
সূত্র জানিয়েছে, ২০০৫ সালে বিএমডিএতে যোগদান করেন দেলোয়ার হোসেন। তার প্রথম পদায়ন হয় দিনাজপুরে। চাকরি থেকে ইস্তফা দেয়ার সময় বিধি মেনেই তিনি তিন মাসের বেতন প্রত্যাহার করেন। এরপর কর্মস্থল ছেড়ে যান।
জানা গেছে, পদত্যাগের প্রায় চার মাস পর ২০১০ সালের ৪ আগস্ট তিনি আবারও ফেরেন বিএমডিএতে। ওইদিন যোগদান করেন সংস্থার বোদা জোনে। সেখানে দায়িত্বপালন করেন ২০১১ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর তাকে বদলি করা হয় নাচোলে। ৪ ডিসেম্বর থেকে তিনি সেখানে দায়িত্বপালন করেন ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। নাচোল থেকে বদলি হয়ে রাজশাহীর পবায় আসেন দেলোয়ার হোসেন। এখনও তিনি সেখানেই কর্মরত।
অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই দেলোয়ার হোসেন ফিরেছেন বিএমডিএতে। যা সরকারি চাকরি বিধির পরিপন্থী।
নিয়োগ, বদলি ও পদায়ন, ছুটিসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে বিএমডিএ প্রশাসন শাখা দীর্ঘদিন ধরেই নানান অনিয়ম করে আসছে। এখানকার অফিস সহকারী থেকে শুরু করে শীর্ষ কর্তারাও জড়িত এই কাণ্ডে। যাদের অনেকেই আবার দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বপালন করছেন এখানে। সংস্থার অর্গানোগ্রাম না থাকায় এই অনিয়মে যুক্ত রয়েছেন প্রশাসনের লোকজন।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে দফতরে কয়েকদিন গিয়ে সচিব সুমন্ত কুমার বসাকের সাক্ষাত পাওয়া যায়নি। তবে মুঠোফোনে তিনি জাগো নিউজকে জানান, বিষয়টি একান্তই বিএমডিএ কর্তৃপক্ষের। এনিয়ে প্রশাসন শাখার কোনো দায় নেই। তিনিও এই ঘটনার দায় নেবেন না।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে কয়েক দফা দফতরে গিয়ে পাওয়া যায়নি বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক শ্যাম কিশোর রায় এবং চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরীকেও। মোবাইলে কল এমনকি ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনির।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে দফতরে আসা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন চেয়ারম্যান, নির্বাহী পরিচালক ও সচিব। এনিয়ে চরম দুর্ভোগে সেবা প্রার্থীরা।
আলাদা তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা থাকায় অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বিএমডিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহফুজুল হক।
প্রতিষ্ঠানটির মনিটরিং কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, তিনি কেবল প্রতিষ্ঠানের চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির তথ্য জানাতে পারেন। এর বাইরে কোনো তথ্য জানানোর নির্দেশনা নেই তার কাছে। তিনি তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে কর্তাদের নির্দেশ পালন করেন মাত্র।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।