জুমবাংলা ডেস্ক: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার পদ্মায় জালে ১৫ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে জেলে শাহিন হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
ঘাট এলাকার মৎস্যজীবীরা জানান, বেশ কিছুদিন পদ্মা নদীর বড় বোয়াল মাছ পাওয়া যাচ্ছিল না। শাহিন হালদার আজ খুব ভোরে নদীতে মাছ শিকারে বের হন। ভোর ৬টার দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে জাল ফেলে টেনে তোলার সময় বোয়াল মাছটি আটকা পড়ে। অনেক দিন পরে মাছ পেয়ে সবাই তো মহাখুশি। পরে মাছটি বিক্রির জন্য সকাল ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাটের রওশন মোল্লার আড়তে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা মাছটি ২ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে মোট ৩৬ হাজার টাকায় কিনে নেন।
শাহিন হালদার জানান, মঙ্গলবার খুব ভোরে পদ্মা নদীতে কয়েকজন মাছ শিকারে বের হন। ভোর ৬টার দিকে জাল তুলতেই এক ঝাঁকিতে বুঝতে পারেন বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে। অবশেষে টেনে নৌকায় তুলতেই তাঁরা দেখতে পান বড় একটি বোয়াল মাছ।
মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, ‘মাছটি নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কিনে নেই। মাছটি কেনার পর ৫ নম্বর ফেরিঘাট পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রাখলে উৎসুক জনতা দেখতে ভিড় করে। বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করা হচ্ছে। প্রতি কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা লাভ পেলেই বিক্রি করব।’
গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মো. শাহারিয়ার জামান বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানির সঙ্গে স্রোত কমেছে । পদ্মা নদীর পানিতে থাকা বড় মাছ খুবই সুস্বাদু ও লোভনীয় হয়। এই সময়ে খুব একটা দেখা না গেলেও মাঝেমধ্যে বড় মাছ দেখা যায়। সাধারণ মানুষ কিনতে না পারলেও টাকাওয়ালারা খবর পেলেই কিনে নেন। বড় মাছে জেলে ও ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পেয়ে খুবই খুশি হন। নদীতে পানির সঙ্গে স্রোত কম থাকলে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়ালসহ দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ আরও ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন। আগামী প্রজন্মের জন্য এই মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধিসহ আরও বেশি পাওয়া যেত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।