অর্থনীতি ডেস্ক : পদ্মাসেতুর মতই দ্রুত এগোচ্ছে মহেশখালীতে মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের কাজ। এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য চলছে চ্যানেল আর ব্রেকওয়াটার তৈরির কাজ। যাতে ঘোলা পানি সরে গিয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে নীলজল। সেখানেই পরিষ্কার হয়ে উঠছে মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের স্বপ্ন। এজন্য জাপানের সাথে ঋণচুক্তি করা আছে। সরকারের অনুমোদন পেলেই শুরু হবে ড্রয়িং-ডিজাইনের কাজ।
দূর থেকে ঘোলা আর নীল জলের যে মিতালী চোখে পড়ে তীর ঘেষতেই তা রূপ নেয় কেবলই নীলে। এ চিত্র কক্সবাজারের মহেশখালি উপকূলের। যেখানে হবে একটি বন্দর।
বিশেষ ব্যবস্থায় সাগরে বাঁধ বা ব্রেকওয়াটার তৈরির পাশাপাশি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ড্রেজারে মাটি খননের কারণে স্বচ্ছ পানি আঁচড়ে পড়ছে কূলে। তাতেই স্পষ্ট বন্দর নির্মাণের স্বপ্ন।
কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৬ মিটার গভীর আর সাড়ে ৩শ মিটার প্রস্থের যে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেল তৈরি হচ্ছে, সে সুবিধাকে কাজে লাগিয়েই হবে বন্দর। যেখানে প্রথম পর্যায়ে বেসিন বানিয়ে ইয়ার্ডসহ ২টি কন্টেইনার আর মাল্টিপার্পাস টার্মিনাল তৈরি করা হবে।
মাতারবাড়ি বন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. জাফর আলম বলেন, সময় আর ব্যয় সাশ্রয়ে সর্বাধুনিক স্টিল স্ট্রাস পদ্ধতিতে নির্মাণ করা হবে টার্মিনাল।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মেজর(অবঃ) রফিকুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এমন একটি বন্দর নির্মাণে কোন বাধা নেই।
মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৭শ ৭৭ কোটি টাকা। এজন্য জাইকার সাথে ২৬শ ৫৫ মিলিয়ন ইয়েনের ঋণচুক্তিও হয়েছে ইতোমধ্যে।
তথ্যসূত্র : চ্যানেল২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।