জুমবাংলা ডেস্ক : ভাঙনের কবলে পড়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি স্কুলভবন পদ্মা নদীতে ধসে পড়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে পদ্মার পানি কমতে থাকার সাথে সাথে উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চর বয়ারমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন একটু একটু করে পদ্মায় ধসে যেতে থাকে। শুক্রবার সকালের মধ্যে পুরো ভবনটি নদীতে ধসে যায়।
দুর্গম চরের স্কুল বলে ভাঙন কাছাকাছি চলে এলেও স্কুলটি রক্ষায় কোনোই উদ্যোগ নেয়া হয়নি। স্কুলটির আরেকটি ভবন এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ভাঙন দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে সে ভবনটির দিকে। স্কুলটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬৯ জন। তাদের পড়াশোনাও এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান জানান, স্কুলটিতে দুর্গম চরের হঠাৎপাড়া, হবিপাড়া, আমিনপাড়া, চর বয়ারমারী ও আদর্শগ্রামের ২৬৯ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। দুই ভবনে মোট ৬টি শ্রেণিকক্ষের মধ্যে তিনটি নদীতে নেমে গেছে। যে ভবনটি আছে সেটা টিকে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। স্কুলটি পুরোপুরি পদ্মায় বিলীন হলে শিশুদের পড়াশোনার জন্য যেতে হবে তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরের স্কুলের।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মমতাজ মহল জানান, স্কুলটি রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কোনো উপায় ছিল না। কারণ, সেটি নদীর ওপারে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে একাধিকবার পরিদর্শন করেও স্কুলটি রক্ষার সম্ভাবনা না থাকার কারণে আল্লাহর ওপর ভরসা করে থাকতে হচ্ছিল। বর্তমানে স্কুলটি বন্ধ রয়েছে। অস্বায়ীভাবে ক্লাস করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।
চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সানাউল্লাহ জানান, ভাঙনে ইতিমধ্যে তার ইউনিয়নের দুটি গ্রাম ও আবাদি জমি নদীতে নেমে গেছে। এখনও কয়েকটি গ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।