জুমবাংলা ডেস্ক: চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুতে বসবে আরও পাঁচটি স্প্যান। যার মধ্যে তিনটি স্প্যান স্থায়ী আর দুটি বসবে অস্থায়ীভাবে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের টার্গেট হলো– ডিসেম্বরে আরও পাঁচটি স্প্যান বসাবো। এবং আগামী বছরের জুনের দিকে সব স্প্যান বসিয়ে দেব।
গত ২৬ নভেম্বর ১৭তম স্প্যান বসিয়ে দেয়ার পর ৩০ নভেম্বর বসেছে আরেকটি স্প্যান। ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে ৩০ ও ৩১ নম্বর পিলারের স্প্যানটি। ভিন্ন মডিউলে হওয়ায় এ স্প্যানটিকে গণনা করা হচ্ছে না দৃশ্যমানের তালিকায়।
২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয়, ১০ মার্চ তৃতীয়, ১৩ এপ্রিল চতুর্থ, ২৯ জুন পঞ্চম, ২০১৯ সালে ২৩ জানুয়ারি ষষ্ঠ, ২০ ফেব্রুয়ারি সপ্তম, ২০ মার্চ অষ্টম, ১৮ এপ্রিল নবম স্প্যান বসানো হয়।
দ্বিতল পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি প্রায় নয় কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। পুরো সেতুতে মোট পিয়ারের সংখ্যা ৪২। প্রতিটি পিয়ারে রাখা হয়েছিল ছয়টি পাইল। একটি থেকে আরেকটি পিয়ারের দূরত্ব ১৫০ মিটার।
বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। মূল সেতু নির্মাণে কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। দুই প্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।