নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও এগিয়ে চলেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ। ৩২তম স্প্যান বসানোর আট দিন পর পদ্মা সেতুতে বসানো হয়েছে ৩৩তম স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর প্রায় ৫ কিলোমিটার (৪ হাজার ৯৫০ মিটার) দৃশ্যমান হলো।
আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের ওপর ‘ওয়ান সি’ নামে স্প্যানটি বসানো হয়।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে নির্ধারিত পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেতু সংশ্লিষ্টরা জানান , ৩২তম স্প্যান বসানোর আটদিন পর বসানো হলো ৩৩তম স্প্যান। করোনাভাইরাস ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন স্প্যান বসানোর কার্যক্রমে ধীরগতি দেখা দেয়। পদ্মা নদীতে পানির গভীরতা অনুকূলে আসায় প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর কাজে গতি আনার পরিকল্পনা করছেন।
তারা আরও জানান, পদ্মা সেতুতে ৩৩তম স্প্যান বসানোর পর আরও বাকি থাকবে আটটি স্প্যান। স্প্যানগুলো মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে।
এদিকে ৪১টি স্প্যানের ওপর দুই হাজার ৯১৭টি রোড স্লাব বসানো হবে। এ পর্যন্ত এক হাজার রোড স্লাব বসানো হয়েছে। এছাড়াও রেললাইনের জন্য লাগবে দুই হাজার ৯৫৯টি রেল স্ল্যাব। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে এক হাজার ৬০০ রেলওয়ে স্ল্যাব।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণে কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।