জুমবাংলা ডেস্ক: সারাদেশের মানুষের সঙ্গে জয়পুরহাটের মানুষের মাঝেও স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে চলছে আনন্দ, উচ্ছ্বাসের ঢেউ।
আজ শনিবার স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তরাঞ্চলের ছোট জেলা জয়পুরহাটের মানুষের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর মতো আরেকটি ইতিহাস হয়ে থাকলো পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ র্যালির আয়োজন।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সকালে জেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য অংগ সংগঠনগুলো এবং স্কুল কলেজের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা আনন্দ র্যালি নিয়ে শহিদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে এসে সমবেত হতে থাকে। এরপর সকাল ৯ টায় শুরু হয় মূল র্যালি। আবুল কাশেম ময়দান থেকে বের হওয়া র্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে স্থানিয় সার্কিট হাউস মাঠে শেষ হয়। পুলিশ ও স্কাউটদের বাদক দলের বাজনার তালে-তালে আনন্দে নাচে গানে সাধারণ মানুষ উদযাপন করে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলীর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ শিক্ষার্থীরা র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে বড় পর্দায় সরাসরি দেখানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃক পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় জয়পুরহাট থেকে কি কি কৃষি পণ্য দক্ষিণাঞ্চলে পাঠানো যাবে এই চিন্তাভাবনা চলছে এখানকার কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। উত্তরাঞ্চলের ছোট জেলা জয়পুরহাট পোল্ট্রি, মাছ, আলু , কলা , ধান, পাট, লতিরাজ কচু চাষ ও উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসাবে পরিচিত দেশের মধ্যে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন এলাকায় জয়পুরহাটের কৃষিপণ্য সরবরাহ করা হলেও দক্ষিনাঞ্চলে পাঠানো সম্ভব হতোনা বলে জানান, স্থানিয় ব্যবসায়ীরা। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে সেই দ্বার খুলে যাবে এমন প্রত্যাশা কৃষক ও ব্যবসায়ীদের। জয়পুরহাট জেলায় ৭১/৭২ হেক্টর জমিতে প্রতিবছর আলুর চাষ হয়ে থাকে। এতে উৎপাদন হয় প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন আলু। জয়পুরহাটের আলু উন্নত জাতের হওয়ায় সারাদেশে এর চাহিদা অনেক বেশি থাকে। আলু তোলার সময় দাম তুলনামূলক কম থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় কৃষকদের। এ সময় ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার পাইকারী ব্যবসায়ীদের জয়পুরহাট আগমন ঘটলেও দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের পাওয়া যেতোনা। কারণ ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় উৎপাদিত হয় লতিরাজ কচু। যা দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন যায় বাইরের ১৫টি দেশে। এখানকার লতিরাজকচু উন্নতমানের হওয়ায় ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় লতিরাজকচুর চাহিদা ব্যাপক থাকলেও দক্ষিনাঞ্চলে পাঠানো সম্ভব হতোনা। পদ্ম সেতু উদ্বোধন হওয়ায় জয়পুরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের কৃষিপণ্য সহজেই দক্ষিনাঞ্চলের জেলা গুলোতে পাঠানো সম্ভব হবে এতে লাভবান হবেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বলে মন্তব্য করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম।
জেলা তথ্য অফিস জেলার গুরুত্বপুর্ণ স্থান গুলোতে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দৃষ্টিনন্দন বিল বোর্ড স্থাপন করেছে। দেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সারাদেশের ন্যায় জয়পুরহাটের মানুষের মাঝে আনন্দ উচ্ছ্বাসের ঢেউ বয়ে যাচ্ছে বলে জানান, জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. সামছুল আলম দুদু। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।