জুমবাংলা ডেস্ক: ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রেলমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করেন।
দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ভাঙা স্টেশন থেকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। ২টা ৪৭ মিনিটে ট্রেনটি শিবচর প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুতে উঠে। ৩টা ১৩ মিনিটে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে। পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে সময় লাগে ১৬ মিনিট। এসময় পদ্মাপাড়ের শিবচরের সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্রেন চলাচল নিয়ে অন্যরকম উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
সড়কপথে যানচলাচলের ১০ মাসের মাথায় এবার সফলভাবে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলো ৭ বগির বিশেষ ট্রেনটি।
পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো বিশেষ ট্রেনে যাত্রা করে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন আগেই হয়েছে। কিন্তু পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ চালু না হওয়ায় একটা অপূর্ণতা ছিল। রেল সংযোগ উদ্বোধনে সেটাও পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে। ফলে আমাদের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
পুরোপুরি ট্রেন চলাচলের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি চালুর নির্ধারিত সময় আগামী বছরের জুনে। এ সময়ের মধ্যে যশোর পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত আমরা যাচ্ছি। মাওয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত আগামী সেপ্টেম্বরে চালু করার আশা করছি।
পরীক্ষামূলক যাত্রায় যাত্রী হিসেবে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, ইকবাল হোসেন অপু, নাহিম রাজ্জাক, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন প্রমুখ ছিলেন।
প্রকৌশলীরা জানান, বুধবার (২৯ মার্চ) রেলপথের সবশেষ ৭ মিটার অংশের ঢালাই দেওয়ার মাধ্যমে কাজ সমাপ্ত হয়। শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে প্রকৌশলীদের পরীক্ষায় পুরো সেতুতে ট্রেন চলার জন্য উপযোগী হয়ে উঠেছে বলে নিশ্চিত করা হয়। বিশ্বমানের করে প্রস্তুত করা হয়েছে পদ্মা সেতুর রেলপথ। শত বছরেরও বেশি সময় টেকসই থাকবে রেলপথটি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনসট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্টের (সিএসসি) তত্ত্বাবধানে চলছে পদ্মা সেতুর এই রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ‘আগামী বছর প্রকল্পটি জুন-মাসের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। আমরা এরই মধ্যে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত শতভাগ কাজ শেষ করেছি। রেলসংযোগ নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেল লিংক প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। এই প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।