মুসলমানদের জন্য হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রতিবছর লাখো মানুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যান। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হজের খরচ বেড়ে গেছে। উচ্চ মূল্যে সরকারি ও বেসরকারি প্যাকেজ ঘোষণার করা হচ্ছে। এতে আগ্রহ থাকলেও মাত্রারিক্ত খরচ বেড়ে যাওয়া অনেকে হজে যেতে পারেন না। এতে সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বিমান ভাড়া অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
সৌদি আরবে যেতে স্বাভাবিক বিমান ভাড়া আসা-যাওয়া ১ লাখ টাকার খরচ হয়। কিন্তু হজের সময় এই বিমান ভাড়া দ্বিগুন নির্ধারণ করা হয়। এতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে একধরনের ক্ষোভ কাজ করছে। গত হজেও প্রত্যাশিতভাবে খরচ কমেনি। যার ফলে ৪০ হাজার কোটা পূরণ করতে পারেনি সরকার। তাই হজের যৌক্তিক বিমান ভাড়া নির্ধারণে দাবি জানিয়েছে হজ এজেন্সীজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
হজযাত্রীদের সংগঠন ও বিভিন্ন নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিমান ভাড়া অন্যান্য আন্তর্জাতিক রুটের তুলনায় হজ মৌসুমে অনেক বেশি নির্ধারণ করা হয়। অথচ একই দূরত্ব বা সময়ের অন্য ফ্লাইটের ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম থাকে। এতে হজযাত্রীরা অযৌক্তিক আর্থিক চাপের মুখে পড়েন। একইসঙ্গে প্যাকেজের দাম বেড়ে যায়। এতে অনেকে হজে যেতে পারেন না।
আজ ২০২৬ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার। ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বিকাল ৫টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ প্যাকেজ ঘোষণা করবেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে চলতি সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল।গত হজেরে সময় সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এ খরচ ছিল ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ খরচ ছিল ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ নির্ধারিত ছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।