
ওই তরুণীর স্বামী অভিযোগ করেন যে, তার স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অনুপিন্দর সিং গ্রেওয়াল বলেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সবসময়ই নারীদের নৈতিক চরিত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়।
তিনি বলেন, যেকোনো পুরুষতান্ত্রিক সমাজেই যেভাবে নারীদের নৈতিক চরিত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়, সেদিক বিচার করলে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন হয়। এমনকি আমরা যদি ধরেও নিই কোনও নারী পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, তাহলেও এটা দাঁড়ায় না যে, তিনি ভাল মা হতে পারবেন না। বা তার সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন না।
আদালতের কাছে দ্বারস্থ ওই নারীর ক্ষেত্রে আদালতের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে যে, তিনি অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা ও চাকরিজীবী। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছ থেকেও সাহায্য পান তিনি। ওই তরুণীর স্বামী একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। তিনি ভারতে বসবাস করেন।
এদিন আদালত তার রায়ে একক মাতৃত্বের পক্ষেও সায় দিয়েছেন। বিচারপতি অনুপিন্দর সিং গ্রেওয়ালের মতে, আদালত যেকোনো দম্পতির ক্ষেত্রেই পুনর্মিলনের পক্ষে সায় দেয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, কোনও সন্তান বাবা বা মায়ের কাছে বড় হলে তার বেড়ে ওঠায় কোনও সমস্যা থেকে যায়।
বিচারপতি গ্রেওয়াল আরও বলেন, আধুনিক সময়ে দেখা যায় একজন অভিভাবকের কাছে বড় হওয়া সন্তানরা অনেক সময়ই দায়িত্ববান প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বেড়ে উঠে নানা ক্ষেত্রে দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



