স্পোর্টস ডেস্ক: দীনেশ কার্তিক খেলছেন না, মাঠেও নেই, এমনকি তিনি দেশেই নেই। তবু তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগের (টিএনপিএল) ম্যাচে দর্শকদের মুখে তার নাম। ‘ডিকে, ডিকে’ ধ্বনিতে মুখরিত পুরো মাঠ। দর্শকদের এই ‘ডিকে’ চিৎকারে মেজাজ হারালেন ভারতীয় ক্রিকেটার মুরালি বিজয়। গ্যালারিতে গিয়ে এক দর্শকের ওপর চড়াও হয়ে ঝাঁজ মেটালেন। অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য দল থেকেও ছিটকে গেছেন।
কার্তিকের নাম শুনে বিজয়ের ভড়কে যাওয়ার কারণ ক্রিকেট অনুরাগীদের অজানা থাকার কথা নয়। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় দলের এই দুই সতীর্থের দা-কুমড়া সম্পর্ক। ২০১২ সালে কার্তিকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নিকিতা বানজারার সঙ্গে বিজয়ের পরকীয়া এবং পরবর্তীতে বিয়ের বিষয়টি ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীদের মাঝে তাকে নিয়ে বিরূপ মনোভাব তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে। সেজন্যই তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ চলাকালে দর্শকরা বারবার ‘ডিকে, ডিকে’ চিৎকার করে বিজয়কে তিরস্কার করছিলেন।
টিএনপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি রুবি ট্রিচি ওয়ারিয়রের হয়ে এবারের আসরে ভালোই পারফর্ম করছেন বিজয়। নেল্লাই রয়্যাল কিংসের বিরুদ্ধে ১২১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেললেও তামিলনাড়ুর দর্শকদের মন জোগাতে পারলেন কই! সেই ম্যাচে বিজয় যখন বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করছিলেন বিজয়। তাকে দেখে দর্শকদের একাংশ ‘ডিকে ডিকে’ চিৎকার শুরু করেন।
দর্শকদের কটূক্তি শুনে প্রথমে বিচলিত হননি বিজয়, হাতজোড় করে তাদের থামার অনুরোধও করেছিলেন। তবে দর্শকরা তাতে ভ্রূক্ষেপ করেননি। যার ফলে মেজাজ হারান বিজয়, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড টপকে চলে যান গ্যালারিতে। দর্শকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান, এক দর্শককে শারীরিকভাবে আঘাত করে বসেন।
নিরাপত্তাকর্মীদের হস্তক্ষেপের ফলে ঘটনা বেশিদূর গড়ায়নি, তবে ক্রিকেটাঙ্গনের অনেকেই বিজয়ের এই আচরণের নিন্দা করেছেন। টিএনপিএলে তার দল নেল্লাই রয়্যালসও এই আচরণের জন্য অঘোষিতভাবে তাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। ২৪ জুলাই এই ঘটনার পর নেল্লাইয়ের পরের দুই ম্যাচে তাকে একাদশে রাখেনি দলটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।