জুমবাংলা ডেস্ক : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের ভ্যানচালক আবু ছালেহ’র স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী মেরী বেগম (৩৪) এর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তার স্বামী ও বাবার বাড়ির লোকজন। নিখোঁজের প্রায় ৩০ দিন অতিবাহিত হলেও সন্ধান মিলেনি ওই গৃহবধুর।
এ ঘটনায় স্বামী আবু ছালেহ বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সোমবার (১ আগষ্ট ২০২২) দুপুরে নিখোঁজ ও এর পরবর্তি সময়ে সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেন ভূক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগের ভিত্তিতে মঠবাড়িয়া থানার এসআই জিন্নাত আলী সরেজমিনে তদন্ত করেছেন। নিখোঁজ মেরী বেগম পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালাতে পারে বলে প্রাাথমিকভাবে ধারনা করেন তিনি।
জানা গেছে, মেরী বেগমের (৩৪) সাথে স্থানীয় আবু কালাম (৪৪) এর পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। এর আগে ২০২০ সালে ১৭ দিন পালিয়ে ছিল তারা। পরে সন্তানের মুখের দিক তাকিয়ে মেরি বেগমকে ঘরে তোলেন স্বামী আবু ছালেহ। আবার এ ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়েছেন পরিবারের সবাই। দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার স্কুল পড়ুয়া দুই মেয়ে। কান্না থামছে না দুই বছর বয়সের অবুঝ মেয়েটির।
কালাম মিরুখালী গ্রামের ফুল মিয়ার পুত্র এবং খালেক মুন্সীর পালক পুত্র। মেরী বেগমের মামাতো ভগ্নিপতি।
আবু ছালেহ বলেন, কালাম আমার স্ত্রীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। আমার স্ত্রীকে নিরাপদে রাখতে চট্রগ্রাম গার্মেন্টসে চাকুরির সুযোগ করে দেই। কিন্তু সেখানেও আমার স্ত্রীর পিছু নেয় কালাম। সর্বশেষ ৫ জুলাই আমার স্ত্রী মেরী বেগমের সাথে আমার কথা হয়। তখন সে চট্রগ্রাম থেকে বাড়িতে আসতেছিল। কিন্তু চাঁদপুর পর্যন্ত আসার পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আজ পর্যন্ত তার কোন খোঁজ মেলেনি।
মেরী বেগমের বাবা চুন্নু হাওলাদার জানান, দুই বছর আগেও কালাম মেরীকে নিয়ে পালিয়ে গেছিল। স্থানীয় সালিশিতে বিষয়টি তখন সমাধান হয়। আবার এ ঘটনা ঘটায় সে। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কালামকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায় নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আব্দুল হালিম জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করতে পারবে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।