জুমবাংলা ডেস্ক : সাতক্ষীরার আলোচিত আলমগীর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পরকীয়ার কারণেই আলমগীর হোসেনকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (০৮ মে) দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন।
পুলিশ জানায়, আলমগীর ও ইস্রাফিল দুইজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। একই এলাকার আব্দুল জলিলের স্ত্রীর সাথে আলমগীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জলিলের স্ত্রীকে নিয়ে গত ৫ মে বিকেলে পালিয়ে ইস্রাফিলের এক আত্মীয়ের বাসায় রাখেন। পরদিন তাদের ঢাকা যাওয়ার কথা থাকলেও আলমগীরের কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় যেতে পারেনি তারা।
একপর্যায়ে আলমগীর জলিলের স্ত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে ইস্রাফিলকে বিয়ে করতে বলে। এতে উত্তেজিত হয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইস্রাফিলের হাতে থাকা বিদ্যুতের তার দিয়ে আলমগীরের গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়।
ইস্রাফিলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহত আলমগীরের ব্যবহৃত টর্চ লাইট উদ্ধার হয় এবং মোবাইলটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এ সময় সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, সদর সার্কেল শামসুজ্জামান সামস, সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বুরহান উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (০৭ মে) ভোরে পুলিশ শহরের বচকরা পশ্চিমপাড়ার একটি পুকুর থেকে একই এলাকার নজরুল ইসলামের পুত্র আলমগীর হোসেনের লাশ উদ্ধার করে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাকির এবং ইস্রাফিল নামের দুইজনকে আটক করা হয়। উক্ত ঘটনার সাথে জাকিরের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। আটক ইস্রাফিল অকপটে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।