জুমবাংলা ডেস্ক : উম্মে ছালমা নামের এক নারী পরকীয়া প্রেম টিকিয়ে রাখতে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিলার ভাড়া করে স্বামীকে হত্যা করেন। পরে লাশ উদ্ধার হলে নিজে বাদী হয়ে মামলাও করেন তিনি। এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে। গত রবিবার রাতে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার আচলতা এলাকা থেকে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে যে, রফিকুল ইসলামের স্ত্রী উম্মে ছালমার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রতিবেশী সাকিব। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সাকিব ও ছালমা রফিকুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর ৩০ হাজার টাকায় খুনি ভাড়া করা হয়। পাশের লাউক্ষেতে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
পরবর্তীতে আবার স্বামীকে খুনের অভিযোগে নিজে বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলাও করেন। কিন্তু ঘটনার এক বছর পর পিবিআই তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ওই নারীই আসলে স্বামীর অন্যতম হত্যাকারী।
গ্রেফতার উম্মে ছালমা নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। তারা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের বিএমএ গেইট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পিবিআই কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর রাতে সাকিব রফিকুলকে ফোন করে ঘটনাস্থলে ডেকে আনে। ছালমা দূড়ে দাঁড়িয়েছিলো। এমরান ও সাকিব মিলে তাকে গলাকেটে লাশ ফেলে রাখে লাউক্ষেতে।
পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল আব্বাস বলেন, পাশাপাশি বাসা হওয়ায় উম্মে ছালমা ও সাকিবের মধ্যে অবৈধ প্রণয় গড়ে উঠে। কিছুদিন পর রফিকুল বিষয়টি জেনে যায়। শুরু হয় তাদের মধ্যে ঝগড়া। এদিকে সাকিব স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের চাপ দেয়। তখন ছালমা বলেন যে, আমি তাকে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিচ্ছি। এরপর পূর্ব পরিচিত এমরানকে ৩০ হাজার টাকায় স্বামীকে হত্যার জন্য ভাড়া করে ছালমা।
গেলো রবিবার সালমাকে বগুড়ায় তার বাবার বাড়ি থেকে গ্রেফতারের পর চট্টগ্রামে এনে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানান এসআই কামাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।