আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অভিবাসন ও পরিচয় জালিয়াতি করে প্রায় ২০ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে বসবাসের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এক বাংলাদেশি দম্পতি। তাদের বিরুদ্ধে ৪০টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবাার (২৪ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবারের সদস্যের পরিচয় ব্যবহার করে, তথ্য জালিয়াতি করে ভিসা নিয়ে নিউজিল্যান্ডে কাজ করতে থাকেন ওই দম্পতি। এক সময় দেশটির নাগরিকত্বও পেয়ে যান।
নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন বিভাগের ছয় বছরের তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। অকল্যান্ড জেলা আদালতে ১৩ দিন ধরে চলা বিচার শেষে গত শুক্রবার বাংলাদেশি জাহাঙ্গীর আলম ও তাজ পারভিন শিল্পীকে দোষী সাব্যস্ত করে।
তদন্তকারীরা আদালতকে জানিয়েছেন, আলম তার ভাইয়ের পরিচয় ব্যবহার করে নিউজিল্যান্ডে ভিজিটর ভিসা পান এবং দেশটিতে প্রবেশ করেন। পরে তিনি একটি ওয়ার্ক পারমিট, রেসিডেন্স ভিসা এবং শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব ও দুটি নিউজিল্যান্ডের পাসপোর্ট পান।
এছাড়া আলম তার স্ত্রী শিল্পীর ১৪টি অভিবাসন পারমিট ও ভিসার আবেদন এবং তার মায়ের জন্য একটি আবেদনের সমর্থনে এই পরিচয় ব্যবহার করেন।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড বলেছে, দম্পতি জানতেন যে, আলম নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন বিভাগের কাছে ওই আবেদনগুলো করার সময় তার আসল পরিচয় লুকানোসহ অন্যান্য মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যবহার করছেন।
এ নিয়ে নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন তদন্ত বিভাগের মহাব্যবস্থাপক স্টিভ ওয়াটসন বলেন, ‘এই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানো হলো যে, অভিবাসন নিউজিল্যান্ডকে প্রতারণামূলক তথ্য প্রদান সহ্য করা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন বিভাগকে মিথ্যা তথ্য দেয়, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে এবং তাদেরকে জবাবদিহি করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।