জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পরিত্যক্ত লোহা-লক্কর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নান্দনিক বগি। আর এই কাজটি রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমানের নেতৃত্বে করেছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।
কারখানার প্রবেশ মুখে এটি বসানো হয়েছে যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে।
রেলওয়ে কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ১৮৭০ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর এখানে নতুন কোচ তৈরি হতো। কিন্তু ১৯৯৩ সালে রেল সংকোচন নীতির আওতায় কোচ নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন কারখানাটিতে যাত্রীবাহী ক্যারেজ ও মালবাহী ওয়াগন মেরামতের কাজ করা হয়।
রেলওয়ের ১ হাজার ২০০ ধরনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি হয় এই কারখানায়। কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান যোগদানের পর দর্শনার্থীদের জন্য কারখানার সৌন্দর্য বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে রেলওয়ে দিবসে প্রতীকী বগিটি স্থাপন করা হয়েছে।
বগিটি মিটারগেজ ট্রেনের, দৈর্ঘ্য ১২ ফুট, প্রস্থ ১১ ও উচ্চতা ৭ ফুট।
রেলওয়ে কারখানার শ্রমিকরা বলেন, অবসর সময়ে স্বেচ্ছাশ্রমে আমরা ছয় আসনের বগিটি তৈরি করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে অব্যবহৃত পুরোনো লোহার যন্ত্রাংশ।
বগি দেখতে আসা সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখছেদুল মোমিন বলেন, বগিটির মাধ্যমে এ পথে যাতায়াতকারীরা সহজেই বুঝতে পারবে কারখানায় ট্রেনের এ ধরনের বগির কাজ করা হয়। সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রয়োজনীয় জনবল ও অন্যান্য সুবিধা পেলে শুধু মেরামতই নয়, এখানে নতুন বগি তৈরি করাও সম্ভব। পরবর্তীকালে এখানে ট্রেনের একটি রেপ্লিকা স্থাপনের চিন্তাও রয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, দেশের বৃহত্তম এই রেল কারখানায় একসময় ১০ হাজারের মতো শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করলেও বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৬৮০ জনে। কারখানায় এখন মঞ্জুরি পদের সংখ্যা ২ হাজার ৫৫৯ জন থাকলেও তা পূরণ করা হচ্ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।