
২০০৯ সালে চালুর পর থেকেই পরিবার সঞ্চয়পত্র বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঞ্চয় স্কিমে পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত নারী ও গৃহিণীদের কাছে। প্রতি মাসে মুনাফা উত্তোলনের সুযোগ, ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ এবং তুলনামূলকভাবে বেশি মুনাফার কারণে এর কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ ১১.৯৩% পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যায়, যা ব্যাংকের এফডিআর বা সঞ্চয় আমানতের তুলনায় অনেক বেশি।
সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে ৫ বছর পর মুনাফা: ১১.৯৩%
সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে: ১১.৮০%
বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যাংকে সুদের হার ৯-১০% হলেও পরিবার সঞ্চয়পত্রে তার চেয়ে বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। একই সঙ্গে এটি সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত, তাই মূলধন হারানোর ঝুঁকি নেই।
এই সঞ্চয়পত্র মূলত নারীদের জন্য প্রণোদিত।১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো নারী,প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষ,৬৫ বছরের বেশি বয়সী নারী-পুরুষ, এটি কিনতে পারেন। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন।
এটি এমন একটি সঞ্চয়পত্র, যেখান থেকে প্রতি মাসেই মুনাফা উত্তোলন করা যায়। তাই অনেকে এটিকে নিয়মিত আয় বা পেনশন বিকল্প হিসেবেও বিবেচনা করেন। গৃহিণীদের জন্য এটি সংসারের খরচ মেটাতে সহায়ক।
পরিবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে কিছুটা উৎসে কর কাটা হলেও তা তুলনামূলকভাবে কম এবং কর রেয়াত পাওয়া যায়।৫ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে: ৫%
৫ লাখ টাকার বেশি: ১০% (মুনাফার উপর উৎসে কর) এছাড়া আয়কর রিটার্নে কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যায়।
জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে যেকোনো ডাকঘর, ব্যাংক বা জাতীয় সঞ্চয় অফিস থেকে এটি কেনা ও ভাঙানো যায়। কাগজপত্র কম লাগে এবং প্রক্রিয়াও জটিল নয়।
প্রয়োজনে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সঞ্চয়পত্র ভাঙানো যায়। যদিও এতে কিছুটা কম মুনাফা পাওয়া যায়, তবু এটি জরুরি পরিস্থিতিতে সহায়ক হতে পারে।
এই সঞ্চয়পত্র বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবার ও গৃহিণীদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে। অনেকে এটি চিকিৎসা খরচ, সন্তানদের পড়াশোনা বা জরুরি খরচে ব্যবহার করেন।
অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি আর্থিক পণ্য হলেও বাস্তবে এটি একটি পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ উপায়, বিশেষ করে যাদের সঞ্চয় সীমিত এবং নির্ভরযোগ্য আয়ের উৎস প্রয়োজন।
পরিবার সঞ্চয়পত্র এমন একটি বিনিয়োগ মাধ্যম, যা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত এবং স্থিতিশীল মাসিক আয়ের ব্যবস্থা করে। নারী ও প্রবীণদের জন্য এতে রয়েছে বিশেষ সুবিধা, যা একে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঞ্চয়পত্র হিসেবে গড়ে তুলেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।