মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর দৈনন্দিন সব কাজের কারণে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণকে বলে কার্বন ফুটপ্রিন্ট। পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলা প্রয়োজন। পরিবেশবান্ধব জীবনধারা সমাজে গ্রহণযোগ্য করতে হবে।
পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করুন
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য কিছু বহুল ব্যবহৃত উপাদান আছে, যেসব পরিবেশ এবং আপনার শরীরের ক্ষতি করে। যেমন ব্লিচ, অ্যারোসল, ওভেন ক্লিনার, এয়ারফ্রেশনার ইত্যাদি। এসবের বদলে পরিষ্কারক হিসেবে ঘরোয়া কিছু উপাদান, যেমন ভিনেগার, বেকিং সোডা ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। যেকোনো পণ্য কেনার আগে দেখুন সেটাতে কোনো ক্ষতিকর কেমিক্যাল বা কীটনাশক আছে কি না; থাকলে পণ্যটি কিনবেন না। যেসব পণ্য তৈরিতে কোনো বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির গাছ, বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর চর্বি, হাড় ইত্যাদি প্রয়োজন হয়, সেসব ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য ব্যবহার করুন
স্থানীয় ও অর্গানিকভাবে উৎপাদিত খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য দ্রব্য কেনার চেষ্টা করুন৷ আপনার এলাকায় বসবাসরত কোনো ব্যক্তি যদি কৃষিকাজে নিয়োজিত থাকেন, তাঁর কাছ থেকে সরাসরি শাকসবজি, ফলমূল ও খাদ্যদ্রব্য কেনার চেষ্টা করুন। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য ব্যবহার করলে পণ্য পরিবহনে কম কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হবে, গ্রাহক রাসায়নিকমুক্ত খাবার খেতে পারবেন, উৎপাদনকারী অর্থনৈতিকভাবে আরও বেশি লাভবান হবেন।
ইলেকট্রিক কার
সরকার আশা করছে সারাবিশ্বেই সামনে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বাড়বে আগামী দশকে। ২০৪০ সাল থেকে শুধু পেট্রোল বা ডিজেল চালিত গাড়ি আর বিক্রি হবেনা যুক্তরাজ্যে। তারও এক দশক পর সব চলবে শুধু ইলেকট্রিক গাড়ি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া এক্ষেত্রে উদাহরণ হতে পারে। এ মুহূর্তে সেখানে প্রায় সাড়ে তিন লাখ বিদ্যুৎচালিত গাড়ি চলছে। রাজ্যটির লক্ষ্য হলো ২০২৫ সাল নাগাদ তার রাস্তায় থাকবে প্রায় পনের লাখ গাড়ি রাস্তায় থাকবে যেগুলো থেকে কার্বন নিঃসরণ হবেনা।
রাইড শেয়ারিং
বিশ্বের বহু জায়গায় আপনি এখন আপনার ভ্রমণকে অন্য কারও সাথে শেয়ার করতে পারেন যেটি কার্বন নিঃসরণ কমাবে। বহু প্রযুক্তি কোম্পানি এ ধরনের অফার দিচ্ছে যেখানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই আপনি অন্যের সাথে যানবাহনে যেতে পারেন। এটায় খরচও তুলনামূলক কম। আর আমেরিকাতে তো রাস্তায় রাইড শেয়ারিং যানবাহনের জন্য আলাদা লেনই আছে মোটরওয়েতে।
ভোক্তা হিসেবে সচেতন থাকুন
কেনাকাটা করার সময় টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরিতে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে, সেসব প্রতিষ্ঠানের পণ্য কেনার চেষ্টা করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।