২৫৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সতর্কীকরণ চিঠি
জুমবাংলা ডেস্ক : চলমান এসএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষক নিয়োগের নামে প্রতারণা শুরু করেছে একটি চক্র। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। অবস্থা এমন পর্যায়ে গেছে যে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা বিভাগ থেকে সতর্কীকরণ নোটিশ দিতে হয়েছে। নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বোর্ডের অধীন ২ হাজার ৫৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এ ধরনের প্রতারণায় শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীন বিভিন্ন জেলার শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষক হতে ইচ্ছুকদের নিয়োগপত্র প্রদানের নামে একটি চক্র প্রতারণা করে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ওই চক্র শিক্ষকদের মোবাইল ফোন নম্বর জোগাড় করে তাদের ফোন করছে। অনেক সময় এসএমএস দিচ্ছে।
তারা প্রধান পরীক্ষক হতে আগ্রহীদের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করে বিকাশ নম্বর দিচ্ছে। বিকাশ নম্বরেই হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে এই অর্থ। একইভাবে পরীক্ষক করার টোপ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। ইতোমধ্যে প্রতারকদের হাত থেকে শিক্ষকদের রক্ষা করতে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে ওয়েবসাইটে ‘প্রতারক থেকে সাবধান’ শিরোনামে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোরের এসএসসি-২০২৩ পরীক্ষায় প্রধান পরীক্ষক এবং পরীক্ষক নিয়োগ দেয়ার নামে বিভিন্ন প্রতারক চক্র বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠান প্রধান অথবা বিভিন্ন শিক্ষকের মোবাইলে টেলিফোন কিংবা মোবাইল থেকে ফোন করে এবং এসএমএসের মাধ্যমে নিয়োগপত্র করিয়ে দেয়ার কথা বলে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বিকাশ নম্বরসহ বিভিন্ন প্রকার কথা বলে প্রতারণা করছে। এ সংক্রান্ত কাজে বোর্ড কর্তৃপক্ষ নগদ টাকা অথবা বিকাশের মাধ্যমে কখনোই লেনদেন করে না। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’ শিক্ষা বোর্ডের পত্রটি ২ হাজার ৫৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অনেক শিক্ষক পরীক্ষক হওয়ার জন্য নানাভাবে তদবির শুরু করেন। এই সুযোগটি কাজে লাগায় প্রতারকরা। তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। কৌশল হিসেবে প্রতারকরা শিক্ষকদের সাধ্যের মধ্যে থাকে এমন অঙ্কের অর্থ দাবি করে।
অপর দিকে অনেক শিক্ষক এক দুই হাজার টাকা খরচ করে হলেও প্রধান পরীক্ষক কিংবা পরীক্ষক হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা যাচাই করে টাকা পয়সা দেন না। যখন প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পারেন তখনই খোঁজ নেয়া শুরু করেন। ভুক্তভোগীরা প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ বলেন, শিক্ষকদের প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের ওয়েবসাইটে নোটিশ দিয়েছি। সূত্র : নয়া দিগন্ত
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।