রাজধানীর আদাবর এলাকার একটি বাসা থেকে একসঙ্গে তিন বোন নি খোঁজ হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইবোন এসএসসি পরীক্ষার্থী। আর অন্য বোন ভোকেশনাল পাস করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তারা আদাবরের শেখেরটেকের পিসিকালচারের খালার বাসা থেকে বের হয়েছিল। তারপর তাদের কোন খোঁজ মিলছে না।
এ ঘটনায় তাদের খালা সাজেদা নওরীন আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
নি খোঁজ তিন জন হল- বড় বোন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোকেয়া, মেজো বোন জয়নব আরা ও ছোট বোন খাদিজা আরা। জয়নব আরা ও খাদিজা আরা এবার একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
নি খোঁজদের পরিবারের দাবি, তারা টিকটকে আসক্ত ছিল। তাই টিকটকের মাধ্যমে কারও প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে তারা বাসা থেকে বের হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
নি খোঁজ তিন বোনের খালা সাজেদা নওরীন জানান, রোকেয়া, জয়নব আরা ও খাদিজা আরা তার ছোট বোনের বাসা খিলগাঁওয়ে থাকত।
তিনি বলেন, জয়নব আরা ও খাদিজা আরার এসএসসি পরীক্ষার সেন্টার ছিল ধানমন্ডি গার্লস হাই স্কুলে। সে কারণে আদাবরে আমার বাসায় নিয়ে আসি পরীক্ষা দেয়ার জন্য। একটি পরীক্ষা হয়েছে আরও দুটি পরীক্ষা বাকি রয়েছে। এর মধ্যেই তারা হঠাৎ তিনজন বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায়। আর অন্য বোন রোকেয়া ভোকেশনাল পাস করেছে। যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে একটি কোর্স করছিল সে।
সাজেদা নওরীন জানান, তার তিন ভাগ্নি টিকটকে আসক্ত ছিল। শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, টিকটকের মাধ্যমে কারও প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে তারা বাসা থেকে বের হয়ে যেতে পারে।
তার দাবি, তারা যাবার সময় তাদের বই-খাতা, পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড রেজিস্ট্রেশন ফর্মসহ সবকিছু নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কোথায় গেছে, কী জন্য গেছে- এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে কোনো তথ্য না পাওয়ায় আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। আমার ভাগ্নিরা যেন নিরাপদে ফিরে আসে- এটাই আমার চাওয়া।
এ বিষয়ে আদাবর থানার উপপরিদর্শক আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা তাদের অবস্থান শনাক্তের বিষয়ে কাজ করছি। এখনো তাদের অবস্থান সম্পর্কে আমরা শনাক্ত হতে পারিনি। তবে তাদের উদ্ধারে আমরা তদন্ত করছি, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উদ্ধারের পর বাসা থেকে বের হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।