বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ করিম জিমির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমানের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন। এর আগে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় জিমিকে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এর আগে শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে গুলশান থেকে জিমিকে (৩০) আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।
এর আগে, শুক্রবার (৬ আগস্ট) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছিলেন, পরীমনির সহযোগীদের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, ‘নায়িকা পরীমনি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতেন, সেগুলো কাদের নিয়ে করতেন, কাদের সহযোগিতায় করতেন, কারা তার নেপথ্যে রয়েছেন, আমরা তাদের নাম পেয়েছি। যারাই তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এসময় প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিষয়ে হারুন-অর-রশিদ বলেন, রাজ একজন লেখাপড়া না জানা মানুষ। সে ছোট্ট একটা চাকরি করতো। বিভিন্ন মডেলকে নিয়ে সে ঘরোয়া পার্টি করতো। উচ্চবিত্তদের মডেল সাপ্লাই দিতো। তার কাছ থেকেও আমরা তথ্য পেয়েছি। সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) বনানীর বাসা থেকে আটক করা হয় পরীমনিকে। র্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক পাওয়া যায় তার বাসায়। এরপর থেকে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয় পরীর বিরুদ্ধে। ওইদিনই সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয় পরীমনিকে। তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মাদকে আসক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পরীমনি।
জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে অ্যালকোহলে আসক্ত তিনি। নিজের চাহিদা মেটানোর জন্য নিজের ফ্ল্যাটে মিনি বার স্থাপন করেছেন। পরীর বারে বিদেশি মদ থাকত। সেগুলো সরবরাহ করত নজরুল রাজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



