বিনোদন ডেস্ক: সিনেমায় একটু অন্তরঙ্গ মুহূর্ত থাকবেই। তা নিয়ে নাক সিঁটকোলে কি আর চলে! বিশেষ করে অভিনয় করতে এসে এই ছুৎমার্গগুলো থাকলে বড়ই মুশকিল। আর কিছু না হোক একটা চুমুর দৃশ্য তো ছবিতে থাকবেই। সেটুকু তো করতেই হবে। কিন্তু বলিউডের এমন প্রথম সারির বহু তারকা রয়েছেন যারা পর্দায় ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ানোর ঘোর বিরোধি।
সোনাক্ষি সিনহা কেরিয়ারের প্রথমদিকে ছবিতে একেবারেই চুমুর দৃশ্যে স্বচ্ছন্দ্য ছিলেন না। ‘হলিডে’র শুটিং চলাকালীন তিনি কিছুতেই অক্ষয় কুমারকে চুমু খেতে রাজি হননি। পরে চিত্রনাট্যের কারণে খুব সন্তর্পণে বলিউডের খিলাড়ির ঠোঁটের কাছে নিজের ঠোঁটটা নিয়ে যান, ব্যস ওই অবধিই।
শিল্পা শেট্টিরও নাম রয়েছে এই তালিকায়। রিচার্ড গেরের আচমকা তাঁকে জড়িয়ে ধরে গালে চুম্বনের ঘটনাটা নিশ্চয়ই মনে আছে। এই ঘটনার পর শিল্পা এতটাই বিব্রত হয়েছিলেন যে তিনি সিদ্ধান্ত নেন আর কোনওদিন অনস্ক্রিন চুমু খাবেন না।
সালমান খান বলিউডের সেই অভিনেতা যিনি অনস্ক্রিন চুমু খাওয়া থেকে শত হাত দূরে। তিনি সবসময়ই বলেছেন, পর্দায় চুমু খাওয়ার বিষয়টা বড্ড অসম্মানজনক। তাই তিনি কোনওদিনই সহঅভিনেত্রীকে চুম্বনের জন্য রাজি হননি।
১৯৯২ সালে ‘ফুল অউর কাঁটে’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন অজয় দেবগন। সে সময় শাহরুখ, সালমানের রমরমা। তার মধ্যেও নিজের স্বকীয়তার গুণে আলাদা একটা জায়গা করে নেন মুম্বাইয়ের চলচ্চিত্র জগতে। তারপর এতগুলো বছর কেটে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু কোনও সহঅভিনেত্রীকে চুম্বনের দৃশ্যে দেখা যায়নি তাঁকে। শোনা যায়, তাতে নাকি অজয়ের ঘোর আপত্তি।
সুনীল শেট্টি এমন একজন অভিনেতা যিনি অভিনেত্রীকে চুমু খাওয়া কিংবা তাঁর সঙ্গে পর্দায় নাচ গান করার থেকে গুরুত্ব দেন মাচো অভিনেতা হিসাবে নিজেকে তুলে ধরায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।